সংবাদচর্চা রিপোর্ট :
টাউট বাটপারে ছেয়ে গেছে নারায়ণগঞ্জ জজ কোর্ট প্রাঙ্গন। আর এসব টাউট বাটপারদের কাছে প্রতিনিয়ত হেনস্তার শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। নারায়ণগঞ্জ আদালত পাড়ায় দালালদের দৌড়াত্ব দিনের পর দিন যেন বেড়েই চলছে। জমির পর্চা, খতিয়ান সহ সকল প্রকার কাজগপত্র তুলতে গিয়ে প্রতারনার শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
নারায়ণগঞ্জ আদালত পাড়ায় জেলা প্রশাসনের রেকড রুমে জমির পর্চার জন্য খতিয়ান দাগ নাম্বার নিতে চাইলে নারায়ণগঞ্জের বহুল প্রচারিত দৈনিক সংবাদচর্চা পত্রিকা একজন প্রতিবেদকের কাছে ১৫শ টাকা দাবী করে আবু বক্কর সিদ্দিক নামে এক টাউট। পরক্ষনে সহকর্মী এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েলের সহযোগীতায় টাউটকে ধরে পুলিশের সোর্পদ করে ভুক্তভোগী সংবাদকর্মী।
জানা যায়, মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে নিজের জমির খতিয়ান নাম্বার তুলতে গেলে এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় দৈনিক সংবাদচর্চা পত্রিকার প্রতিবেদকের। পরবর্তীতে ধরা পড়ে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভবনে অবস্থিত রেকর্ড রুম। জেলার সকল জমিসংক্রান্ত কাগজপত্র এখানে মজুদ থাকে। অনেক দিন যাবত অভিযোগ আসছিল দালালদের খপ্পরে পড়ছে সাধারণ মানুষ। কিন্তু কোন নজরদারী ছিলো না প্রশাসনের। মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় এক সাংবাদিক সেখানে গিয়ে খতিয়ানের দাগ নাম্বার চাইলে তার কাছ থেকে ১৫০০ টাকা চাওয়া হয়। যেখানে দাগ নাম্বার নিতে কোন টাকার দরকার হয় না সেখানে ১৫০০ টাকা ? ঐ সাংবাদিক তার কয়েকজন সহকর্মীকে বিয়ষটি অবগত করলে তারা সেখানে গিয়ে হাতে নাতে জাল ও নকল সাইন করা কাগজ পত্র সহ আবু বকর সিদ্দিক নামে একজনকে আটক করে।
এ ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. হাসান ফেরদৌস জুয়েল। এসময় গণমাধ্যম কর্মী ও আইনজীবী সমিতির সভাপতির কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি রেকর্ড রুমের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা মোঃ শাহনেওয়াজ।
এরপর টাউট আবু বকর সিদ্দিকের শার্টে আমি টাউট লাগিয়ে আদালত পাড়া ঘুরানো হয় এবং পুলিশের কাছে দিলে তার বিরুদ্ধে মামলা দেয়া প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।
অপরদিকে বারের সভাপতির হাতে আরেক টাউট ধরা পড়ে। যার বৈধ লাইসেন্স ২০১২ সালেই শেষ এবং সকল কাগজ পত্রে সরকারী সিল স্বাক্ষর নকল করে প্রতারনা করছে। তাকেও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়। এরপর এক এক করে সেখান থেকে কেটে পরে স্ট্যাম্প ভ্যান্ডার বিক্রেতারা।
এখন প্রশ্ন জাগে রের্কড রুম একটি সংরক্ষিত এলাকা, সেখানে কিভাবে এই দালাল প্রবেশ করলো ? সে কেনো সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে দাগ নাম্বার, খতিয়ান নাম্বার সহ বিভিন্ন কাগজপত্রের কাজ করে দেয় এবং কিভাবে সে এগুলো করে সে সবের কোন উত্তর দিতে পারেনি রেকর্ড কিপার শাহনেওয়াজ সহ রেকর্ড রুমের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী।
এ ব্যাপারে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েল বলেন, নারায়ণগঞ্জের ডিসি, এসপি, জজ কোর্টের বিচারপতি সহ আমরা কেউ চাইনা সাধারণ মানুষ কেউ বিড়ম্ববনার শিকার হোক। রেকর্ড রুম একটি সংরক্ষিত জায়গা, চাইলে কেউ এখানে প্রবেশ করতে পারেনা। বাইরের লোক এখানে কিভাবে প্রবেশ করলো তা আসলে তদন্ত করে দেখার বিষয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখবেন বলে আমরা আশাকরি। যাতে করে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে।