আজ শুক্রবার, ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

তৈমূর যা করবেন

নবকুমার:

সাবেক বিএনপি নেতা এড. তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, শামীম ওসমান যেই হোক নারায়ণগঞ্জের যত বড়ই নেতা হোক তৈমূর আলম খন্দকার শামীম ও সমানের পায়ে হাটে না। তৈমূর আলম খন্দকার নিজস্ব শক্তিতে হাটে। শামীম ওসমান যখন বড় ধরণের ছাত্র নেতা তখন আমিও (তৈমূর) শ্রমিক নেতা। আমি হরতাল করতেও পারছি, হরতাল ভাংতেও পারছি। এটা নারায়ণগঞ্জের সব মানুষ জানে।
২০১১ সালে আমাকে তো চিঠিও দেয় নাই আমাকে শুধু টেলিফোনে বলছিলো যে ম্যাডাম নির্দেশ করছে আপনাকে বসে যেতে হবে। টেলিফোনের নির্দেশে আমি বসে গিয়েছিলাম। এবার দল তো পারতো আমাকে টেলিফোনে বলতে তুমি নির্বাচনটা কইরোনা যা করছো করছো। দল তো তা করে নাই।

তিনি বলেন, বিএনপি আমার রক্তের সাথে মিশে গেছে। বিএনপি আমাকে দল থেকে বহিষ্কার করবে এটা আমি এখনও বিশ^াস করি না। ম্যাডাম যদি সুস্থ্য থাকতেন কি হতো জানি না। তাকে কে কতটুকু বুঝাইতে পারত কি লেনদেন তবে আমি কিন্তু ২০১১ সালের সাথে ২০২১ সালের একটা মিল খুঁজে পাই। ২০১১ সালে আমাকে বসাইয়ে দিয়ে যেই প্রার্থী বেনিফিটেড হলো ২০২১ সালে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে সেই প্রার্থী বেনিফিটেড হলো।

তৈমূর বলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি ছিলো জাহাঙ্গীর । তাকে আমি খুব পছন্দ করি। তার স্ত্রী আমাকে ২০১১ সালে নির্বাচনের ৩ দিন আগে আমাকে বলেছে আপনাকে নির্বাচন থেকে বসায়ে দেবে। এইবার ২০২১ আইসা জামাল উদ্দিন কালু নামে নারায়ণগঞ্জে আমাদের একজন সিনিয়র নেতা , তিনি আমাকে বলছেন আপনে বহিষ্কার হয়ে যাবেন। আমি (তৈমূর) বললাম আপনি কোথা থেকে শুনলেন সে বললো মেয়র আইভী আমাকে (কালু) বলছে। জাহাঙ্গীরের স্ত্রীকে আমি জিজ্ঞাস করেছিলাম তুমি কার কাছ থেকে শুনেছো সেই বলছে মেয়র আইভীর বাড়ি থেকে। এখন যোগসুত্রটা কোথায় এইটা আমি খুঁইজা পাই না। আমি তো দুইটা নাম বলে দিলাম। তারা দুইজন বেচে আছেন।
বিএনপির মধ্যেও আওয়ামী লীগের অনেক স্পাই আছে এমন প্রশ্নের জবাবে তৈমূর আলম বলেন, এটা আমি বিশ^াস করতে চাই না। আমি বিএনপিকে খুব ভালোবাসি। আমার মেয়েও বিএনপি করে, লন্ডন যে মেয়েটা আছে সেও বিএনপি করে, আমার ভাই,ভাতিজা সবাই বিএনপি করে। আমি বিএনপিকে ছেড়ে কোথায় যাবো । এতো দিন বিএনপির জন্য গুলি খাইলাম , মার খাইলাম,জেল খাটলাম ,গরুর মতো আমাকে পুলিশ পেটায়ছে আমি বিএনপির ব্যানারটা ছাড়ি নাই।

বিএনপি আসলে চালায় কে মহাসচিব নাকি যুগ্মমহাসচিব এমন প্রশ্নের জবাবে তৈমূর বলেন , এই প্রশ্নের জবাব আমি দিতে পারবো না। কারণ তারা অনেক উচ্চ পর্যায়ের নেতা। মহাসচিবকে আমি মনে করছি তিনি দলের মুখপাত্র । তিনি যেটা বলবেন সেটাই দলের বক্তব্য। সেই হিসেবে আমিও সম্মতি জ্ঞাপন করছি হ্যা নির্বাচন করবো। যারা আমাকে নামায়ছে তারা আমাকে সহযোগিতা করেছে।
অপর একজন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন করাটা যদি দল অপরাধ মনে করে সেই জন্য আমি দোষি । মানুষ আমাদের পাশে আছে, সরকারের পাশে নাই। অনেক প্রতিকুলতার মধ্যে বিরানব্বই হাজার ভোট পেয়েছি। আমি নিজ দলের সাথে ফাইট করলাম।

তিনি আরও বলেন, এটিএম কামালের মতো একজন কর্মী পাওয়া কঠিন ব্যাপার। এখন আমরা খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলন করবো আর ইভিএম এর বিরুদ্ধে কথা বলবো। আমি এখন বিএনপির কর্মীও না একজন সমর্থক হিসেবে কথা বলে যাবো।

গত ২২ জানুয়ারি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে এক স্বাক্ষাতকারে তৈমূর আলম খন্দকার এসব কথা বলেন। তিনি আরও জানান বহিষ্কারের ব্যাপারে মানসিকভাবে খুব কষ্ট পেয়েছি।