আজ শুক্রবার, ২৬শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

তৈমূর আলমের বক্তব্যের কড়া জবাব

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নাসিকের উন্নয়ন কর্মকান্ড ও ইভিএম নিয়ে সম্প্রতি বক্তব্য দিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী এড.তৈমূর আলম খন্দকার। তার সেই বক্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।

গত ১৪ ডিসেম্বর ২নং রেলগেইটে এক আলোচনা সভায় জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল বলেন, কার বলে এ হুংকার জনাব তৈমূর সাহেব। জামায়াত শিবির নিয়ে রাজনীতি করেন আবার বড় বড় কথা বলেন। শামীম ওসমানের খেলা হবে সেই খেলা সন্নিকটে। সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দেখিয়ে দিবে। এই যুদ্ধে দল মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী দিনে আওয়ামী লীগের চলার পথ সহজ করবে।
তিনি আরও বলেন, আসলে রাজনীতির পথ অনেক পিচ্ছিল। অনেকে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে যায়। ভেদাভেদ সৃষ্টি করতে চায় ,বিভেদ সৃষ্টি করতে চায়। এদের চিহ্নিত করতে হবে। মনে রাখতে হবে ওরা যত বড়ই হোক না কেন তারা পারবে না।

মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, সারা বিশে^ ইভিএমে নির্বাচন হচ্ছে। বাংলাদেশে পূর্বেও ইভিএম নির্বাচন হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের অনেক জায়গায় ইভিএম নির্বাচন হচ্ছে। কিন্তু আসলে নিজের পরাজয়কে অন্যখাতে প্রবাহিত করার জন্য ইভিএম’র উপর দোষ চাপাচ্ছে। এই জয়গা ইভিএমের মতো নির্বাচন হবে। ইভিএমে নির্বাচন কারচুপি হবে আর ইভিএম ছাড়া নির্বাচন কারচুপি হবে না এমন কোনো কথা না। সুতরাং ইভিএম এর উপর দোষ চাপিয়ে লাভ নাই।

গত ১৬ ডিসেম্বর দেওভোগে এক অনুষ্ঠানে আইভী বলেন, আল্লাহ্ কোনো দিনও মিথ্যাকে জয়যুক্ত করে না। আল্লাহ সর্বদা সত্যের পথে থাকে। সুতরাং আমি আহবান জানাবো মিথ্যার আশ্রয় না নিয়ে সত্যের পথে আসুন। মোকাবেলা করতে চান মোকাবেলা করুন। আমি তৈমূর আলম খন্দকার কাকাকে স্বাগতম জানাই, উনি নির্বাচন করতে আসছে। ১৬ জানুয়ারি আমি আপনার সাথে নির্বাচন করবো। চাচা-ভাতিজি নির্বাচন করবো, মানুষ যাকে চয়েস করে নেবে সেই জয়যুক্ত হবে। তারপরও আমি বলবো আপনি আলী আহমেদ চুনকার শীষ্য ছিলেন । আমি সব সময় সত্য কথা বলেছি, আপনেও সত্য অবলম্বন করবেন। মিথ্যে অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে দেবেন না। আমরা বাবুরাইল খালে কোনো টাকা বাড়াই নাই। টাকা আরও বেশি হয়েছে সে টাকা নিয়ে আমরা জিমখানার লেক করে দিচ্ছি। সিদ্ধিরগঞ্জের টাকাও আমার পাস আছি আমি অন্য কাজ করে দিচ্ছি। অন্যের কথা শুনে দয়া করে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেবেন না। আমি মিথ্যা কথা কখনো বলি নাই বলবো না। ফাঁসির মঞ্চে গিয়েও মিথ্যা বলবো না। আমি সত্যকে ধারণ করি।