সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
অতীত স্মরণ । ভোটের আগে অনেক কিছুই ঘটে, এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। কেউ উধাও , কেউ পাশে। অতিথি পাখির মতো এখন অনেকের দেখা মিলে। ‘‘ভোট গেলে তোমার দেখা নাইরে, তোমার দেখা নাই’’। এসব গান আজ কিছু লোকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যারা হঠাৎ করে এখন রূপগঞ্জে ঘুরছে। নেতা সৎ থাকলে এলাকায় উন্নয়ন হয়। যেখানে দুর্নীতি আছে সেখানে উন্নয়ন নেই। রূপগঞ্জে টানা ১৪ বছর যাবত সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক। তার নামে নেই কোন অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ। মন্ত্রী হিসেবে গত ৪ বছরে স্থানীয় প্রশাসনের উপর তার কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়নি । বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসন ,উপজেলা প্রশাসন,পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাঁর প্রশংসা করেন। রাজনীতিতেও তিনি পাকা। তার পদচারণায় রূপগঞ্জে মাঠ ছাড়া বিএনপি। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের আগলে রাখেন তিনি । আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের খোঁজ রাখছেন । অসুস্থ ও অসহায় নেতাকর্মীদের সহযোগিতা করছেন। ধর্মীয় উৎসবে নেতাকর্মী সমর্থকদের উপহার পাঠান রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ,বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক। এবারও উপহার পাচ্ছে। শাড়ি ও নগদ অর্থ বিতরণ করছে। এতে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা খুবই আনন্দিত।
অনুসন্ধানে জানা গেছে গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক এমপি নির্বাচিত হওয়ার পরে মুড়াপাড়া কলেজ সরকারী হয়েছে, ভুলতা ফ্লাইওভার হয়েছে, তারাবতে শীতলক্ষ্যা নদীর উপর সুলতানা কামাল সেতু হয়েছে, মুড়াপাড়ায় শীতলক্ষ্যা নদীর উপর গাজী সেতু হয়েছে। প্রত্যেকটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তিনি নতুন ভবন দিয়েছেন। নতুন রাস্তা নির্মাণ ও পাকা করেছেন। সর্বশেষ রূপগঞ্জের পূর্বাচলে বাংলাদেশের প্রথম পাতাল মেট্টোরেল এমআরটি লাইন-১ এর নির্মাণ কাজ উদ্বোধন হয়েছে। ৪র্থ বার সংসদ সদস্য হওয়ার চেষ্টায় আছেন গোলাম দস্তগীর গাজী। সুত্রের খবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় তিনি ভোট কেন্দ্র পরিচালনা কমিটি গঠন করছেন। দলের সাংগঠনিক শক্তি বাড়াচ্ছেন। গণসংযোগ ও সমাবেশে করছেন। দলের নেতাকর্মীরাও মন্ত্রীর পক্ষে । মানবিক কাজেও তিনি অধিক সক্রিয় রয়েছেন। তার নিজ নির্বাচনী এলাকা রূপগঞ্জ উপজেলার কিডনী রোগীদের জন্য বিনা খরচে তিনি কিডনী ডায়ালাইসিস ব্যবস্থা করেছেন। সাধারণ মানুষও বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর এই মহৎ উদ্যোগকে স্বাগতম জানিয়েছে। তার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিশেষ করে মহিলা লীগ ও যুব মহিলা লীগ কে অত্যন্ত শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলেছেন তিনি। দল মতের উর্ধ্বে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। মন্ত্রী হওয়ার পরেও তিনি রূপগঞ্জ ছেড়ে যাননি। বিগত ১৪ বছর তাকে কর্মীদের পাশেই দেখা গেছে। করোনাকালে তিনি রূপগঞ্জে গাজী পিসিআর ল্যাব স্থাপন করলে নারায়ণগঞ্জ এবং এর আশেপাশের জেলার মানুষ রক্ষা পায়।
চব্বিশের ভোটকে ঘিরে রূপগঞ্জকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে শাসক দল। চলতি বছরেই আপাতত দুইবার রূপগঞ্জে এসেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় নির্বাচনের আগে সুধী সমাবেশকে মহাসমাবেশে রূপ দিয়ে নিজের অবস্থানের জানান দিয়েছেন গোলাম দস্তগীর গাজী। গত ২ ফেব্রুয়ারি রূপগঞ্জের পূর্বাচলে বাংলাদেশের প্রথম পাতাল মেট্টোরেল এমআরটি লাইন-১ এর নির্মাণ কাজ উদ্বোধন উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সমাবেশে এতো লোক দেখে মুগ্ধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গোলাম দস্তগীর গাজীকে আকার-ইঙ্গিতে বোঝালেন প্রধানমন্ত্রী। ওবায়দুল কাদের বলেন, বেশি নেতার দরকার নেই। গাজী সাহেব আছেন। ডিসেম্বরে ফাইনাল খেলা।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি রূপগঞ্জের ৪০ টি স্পটে শান্তি সমাবেশ ও মিছিল করেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী। এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশের সময় রূপগঞ্জের রাজপথ দলে রাখেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী। ৩০ টি স্পটে সেদিন প্রতিবাদ মিছিল করেন তিনি। যা নারায়ণগঞ্জের অন্য এমপিদের করতে দেখা যায়নি। ঢাকায় আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মসূচি সফল করতে রূপগঞ্জ থেকে ভূমি রাখছে গাজী পরিবার।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক জানান, গরীব ,বড়লোক কিচ্ছু বুঝিনা আপনাদের সবার জন্য আমার দরজা খোলা । সবাই যাবেন আমার বাসায়। বুধবার থেকে ৪ দিন আমি রূপসীর বাসায় থাকি।
রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা বলেন, গত ১৪ বছর কারও সাথে কোনদিন বেয়াদবি করি নাই। এমপি,মন্ত্রীদের ছেলের মতো আচরণ আমি দেখাইনি। সবার সেবা করতে এসেছি। ভালো সব সময় ভালো। খারাপ, মিথ্যুক এবং যারা শীতের পাখি তাঁরা আসবে ,আমাদেরকে বিরক্ত করবে এবং সময় মতো পালিয়ে যাবে। এবার নির্বাচনে আমাদের শ্লোগান ‘কথা দিয়েছিলাম কথা রেখেছি’।
এছাড়া গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক তার কর্মগুনে বিরোধী দলসহ সাধারণ জনগণও তাকে পছন্দ করেন। রূপগঞ্জের প্রত্যেকটা জায়গায় তার উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে।
অতীতে মতিন চৌধুরীসহ বহু এমপি , মন্ত্রী বলে গেছে মুড়াপাড়া কলেজ সরকারী হবে না। আর গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক সেই মুড়াপাড়া কলেজ সরকারী করে দেখিয়ে দিয়েছে। এ জন্যই তাকে সবাই রূপগঞ্জের মহাবীর বলে। পিছিয়ে বিএনপি। কোনঠাসায় বিরোধী দলের নেতারা। তাদের মধ্যে গ্রুপিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে। একে অপরের বিরুদ্ধে কথা বলছে বিরোধী দলের নেতারা।