টি.আই.আরিফ
বার বার ঢাকায় নিজেদের অবস্থানের জানান দিচ্ছে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক রূপগঞ্জে আওয়ামী লীগ,অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনকে কতটা শক্তিশালী করেছেন তা ঢাকার নেতারা বুঝে গেছে। গতকাল ঢাকায় আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে রূপগঞ্জ থেকে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীকের নেতৃত্বে প্রায় ১৫ হাজার নেতাকর্মী যোগ দিয়েছে। গাজী সমর্থকদের মিছিল দেখে মুগ্ধ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। সমাবেশের মাইক দিয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীকের প্রশংসা করেন নেতারা। রূপগঞ্জ থেকে তারা রাজনৈতিক সাপোর্ট পাচ্ছে । এসময় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, মহিলা লীগ নেতাকর্মীরা নানা শ্লোগান দেন।
আওয়ামী লীগের ঢাকায় যেকোন কর্মসূচি সফল করার জন্য রূপগঞ্জ থেকে গাজী পরিবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এরআগে নারায়ণগঞ্জ থেকে সবচেয়ে বড় মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুবলীগ,ছাত্রলীগের সমাবেশে যোগদান করেন মন্ত্রীপুত্র গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা। তার মিছিল দেখে দলটির কেন্দ্রীয় নেতারাও তার প্রশংসা করেন। মেয়র হাছিনা গাজী মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে পাঁচ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে যোগদান করেন।
। বিএনপির সমাবেশ ঘিরে রূপগঞ্জের রাজপথ দলে রাখেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক। যা নারায়ণগঞ্জের অন্য এমপিদের করতে দেখা যায়নি। ক্ষমতাসীন দলের দাপটে রূপগঞ্জ থেকে ঢাকায় লোক নিতে পারেনি বিএনপি। এ কথা দলটির একাধিক নেতা এই প্রতিবেদককে জানিয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের নেতারাও কড়া বার্তা দিয়ে যাচ্ছে। মন্ত্রীপুত্র গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা জানান, সমাবেশের নামে বিএনপি, জামায়াতকে কোন প্রকার নৈরাজ্য করতে দেওয়া হবে না। আমরা মাঠে থাকতে কোন অপশক্তি সফল হবে না। রূপগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ মাঠে প্রস্তুত আছে। এছাড়া শাসক দলের জনপ্রতিনিধিরাও যার যার এলাকায় সতর্ক রয়েছে। দলটির নেতারা জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বলেন, আমাদেরকে আন্দোলন শেখাতে হবে না। আমরা ওয়ান ইলেভেনের সময় লড়েছি। আমরা বিএনপির আন্দোলন প্রতিহত করতে জানি। আমরা রাজপথে আছি। আগামী নির্বাচনে আমাদের প্রতিপক্ষ বিএনপি।
মন্ত্রী আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নামে মামলা না করায় আমাকে ২৭ দিন টর্চার করেছিলো। আমি একজন খেতাব প্রাপ্ত বীর বীর মুক্তিযোদ্ধা। বঙ্গবন্ধু আমাকে খেতাব দিয়েছে। আমি তাদেরকে বলেছিলাম আমি মরে গেলেও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার নামে মিথ্যা মামলা দিতে পারবো না। আমাকে মাইরে ফালান তাও আমি নেত্রীর নামে মামলা দিতে পারবো না। সেই ঘটনা নেত্রী জানে।