আজ শনিবার, ১৮ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ডেমরা সারুলিয়া ধর্মীয় শিক্ষক কর্তৃক ধর্ষনের শিকার শিশু ইতি

ডেমরা প্রতিনিধি: এস.এ সহিদঃ অতি সম্প্রতি ধর্মীয় শিক্ষক কর্তৃক ধর্ষনের শিকার হয়েছে শিশু সুবর্না আক্তার ইতি ডেমরা সারুলিয়ার স্থানীয় একটি স্কুলের অস্থায়ী ধর্মীয় শিক্ষক মুফতি মাসুম বিল্লাহ কর্তৃক ধর্ষিতা হয়েছে ষষ্ঠ শ্রেনীর বাক প্রতিবন্ধী ছাত্রী ইতি। আর এ ধর্ষনের ঘটনা এক দিনের নয় দিনের পর দিন। পালাক্রমে ধর্ষনের দরুন ১৩ বছর বয়সের এ নিষ্পাপ প্রতিবন্ধী মেয়েটি বর্তমানে গর্ভবতী। বর্তমানে সে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত তিন মাস পূর্বে মৌখিকভাবে নিয়োগ পাওয়া এই ধর্মীয় শিক্ষক প্রতিবন্ধী সুবর্না আক্তার ইতির সরলতা ও প্রতিবন্ধকতার সুযোগ নিয়ে দিনের পর দিন স্কুলের ক্লাস রুমে ছুটির পর এ ধরনের ধর্ষনের কাজ চালিয়ে যেতেন। তার এ কুকর্মের কথা কেউ জানতো না।

আর প্রতিদিনই ইতি ২৫/৩০ মিনিট দেরী করে বাসায় ফিরতেন। ইতির মা সমতুল্য ভাবী তার দেখাশুনা করতেন। এখানে বলে রাখা ভাল যে, ইতির বাবা-মা এখানে থাকেন না। ইতি ছোটবেলা থেকে পুতুলের মত সুন্দর হলেও বাক প্রতিবন্ধী। তাকে কোন কিছু জিজ্ঞেস না করলে কোন কথা বলে না। তার খাওয়া ও গোসলের কথা বলে দিলে তারপর করে। নিজে থেকে কোন কথা বলে না ও কোন কিছু কারো সাথে শেয়ার করে না। তার ভাবী ছোটবেলা থেকে মায়ের আদরে লালন পালন করেন। সম্প্রতি স্কুল থেকে বাসায় ফিরতে দেরী হয় কেন জানতে চাইলে ইতি চুপ করে থাকে ও মন খারাপ করে বসে থাকে।

গত ০৯/১০/২০১৭ইং তারিখে ইতি স্কুল ছুটির পর বাসায় ফিরে বমি করে। তার ভাবী তাকে জিজ্ঞেস করে তোমার কী হয়েছে? ইতি কান্না করে বলে, ধর্মীয় শিক্ষক অনেক খারাপ। সে আমার সাথে প্রতিদিন খারাপ কাজ করে। ২/৩ বার বমি করে অসুস্থ হয়ে পড়লে এই ঘটনায় ইতির বড় ভাই মঞ্জুরুল ইসলাম স্কুলের পরিচালককে জানালে তিনি মুফতি বিল্লাহকে মুঠোফোনে স্কুলে আসতে বলেন, সাথে সাথে ডেমরা থানায় ফোন দেন। মুফতি মাসুম বিল্লাহ স্কুলে আসলে তাকে আটক করে ও পরে পুলিশে সোর্পদ করে। এস.আই রুহুল আমিন মুফতি মাসুম বিল্লাহকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

পরবর্তীতে ইতির বড় ভাই মঞ্জুরুল ইসলাম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধনী ২০০৩ এর ৯/১ ধারা মোতাবেক মামলা রুজু করেন। মামলা নং- ১৬, তারিখ ১০/১০/২০১৭ইং মামলা তদন্ত কর্মকর্তা এস.আই রুহুল আমিন ডেমরা থানা ঢাকা।

আরো জানা যায় মুফতি মাসুম বিল্লাহ স্থানীয় নান্নু মুন্সী কারিমিয়া জামিয়া মাদ্রারা স্থায়ী ধর্মীয় শিক্ষক পদে আটক হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত কর্মরত ছিল। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবক ও সচেতন নাগরিক সমাজ ডেমরা থানা ও সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞ আদালতের প্রতি দুশ্চরিত্রবান মুফতি মাসুম বিল্লার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।