আজ শনিবার, ৬ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

টার্গেট লক্ষাধিক লোক

টি.আই.আরিফ

গেল ১ জানুয়ারি রূপগঞ্জে এসেছিলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদিন প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে ছিলেন রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ,বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক ও তার অনুগতরা। এবার এগিয়ে গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক । তবে এবার দৃশ্যপট একটু ভিন্ন। ১ জানুয়ারি যারা প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে যাননি এবার তারাও লাফাচ্ছে। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি রূপগঞ্জে সুধী সমাবেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় নির্বাচন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন ঘিরে গরম রূপগঞ্জ। জেগে উঠেছে নেতাকর্মীরা। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীকের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। রূপগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে ঘিরে শেষ মূহূর্তের প্রস্তুতি তুঙ্গে। প্রশাসন ও রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ প্রস্তুতি সভা করেছে। রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম দস্তগীর গাজী প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করার লক্ষ্যে তৎপর রয়েছেন। তিনি মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। করোনা পরবর্তী এই প্রথম কোন উপজেলায় স্বশরীরে গিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুধী সমাবেশে ভাষণ দেবেন। আর সেটা রূপগঞ্জ । এর আগে তিনি পহেলা জানুয়ারি রূপগঞ্জে এসেছিলেন। দুই মাসের মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রূপগঞ্জে দুইবার আসবে কেউ ভাবতে পারেনি। অনেকে স্থানীয় সাংসদ বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীকের প্রশংসা করছে। তাকে নেত্রীর বিশ^স্ত সৈনিক মনে করা হয়। ভোটের আগে আওয়ামী লীগ সরকার প্রধান রূপগঞ্জকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন। মন্ত্রীও নেত্রীর কাছে এলাকার উন্নয়নসহ কিছু দাবি তুলে ধরছে। দলীয় নেতাকর্মীসহ রূপগঞ্জের সাধারণ মানুষ বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত হচ্ছে। নেত্রীর আগমনের খবরে রূপগঞ্জে এখন উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরী হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করার লক্ষ্যে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী দলীয় নেতাকর্মীদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। নেতার কথমত কর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা এলাকায় কাজ করে যাচ্ছে। তাদের এখন প্রধান টার্গেট লোক নিয়ে সবাই প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যাবে। এতে ক্ষমতাসীন দলের সাংগঠনিক তৎপরতা বাড়ছে।
সারা রূপগঞ্জে শ্লোগান উঠছে- “রূপগঞ্জের মাটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি, রূপগঞ্জের মাটি শেখ হাসিনার ঘাঁটি। রূপগঞ্জের মহাবীর গাজী গোলাম দস্তগীর, গাজীর সেনা আসছে রাজপথ কাঁপছে। গাজী সাহেবের ভয় নাই , রাজপথ ছাড়ি নাই। গাজী তুমি জনতার, রুখবে তোমায় সাধ্য কার” ।
রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বলেন, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ। নেত্রীর জনসভায় রূপগঞ্জ থেকে লক্ষাধিক লোকের সমাবেশ ঘটবে।
রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ভুঁইয়া বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রূপগঞ্জে অনেক উন্নয়ন করেছেন। কোন গ্রুপিং চলবে না। সমাবেশে যাওয়ার জন্য আমাদের বাস,লঞ্চ থাকবে। সবাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যাবেন।
রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা বলেন, দয়া করে কেউ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে বিভক্তি দেখাবেন না। সেদিন আমাদের একটাই শ্লোগান শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনা। বাইরের শ্লোগান চলবে না। অনেকে শকুনের ডাক দেবে, দয়া করে কেউ সারাদেবেন না।
রূপগঞ্জ উপজেলা মহিলা লীগ সভাপতি ও তারাব পৌরসভার মেয়র হাছিনা গাজী মহিলা লীগ ও যুব মহিলা লীগের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন দিকনির্দশনা দিয়ে বলেন, ‘আপনাদের কেউ আঘাত করলে তাকে দেখে রাখবেন। আরও নির্বাচন আসবে। তখন দেখা যাবে। এখন কেউ বিশৃঙ্খলা করবেন না। সবাই শেখ হাসিনার শ্লোগান দেবেন। আমরা নেত্রীকে দেখিয়ে দেবো রূপগঞ্জের মাটি শেখ হাসিনার ঘাঁটি, রূপগঞ্জের মাটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। রূপগঞ্জ উপজেলা মহিলা লীগ ও যুব মহিলা লীগ এখন অনেক শক্তিশালী।
রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক আমান উল্লাহ মিয়া বলেন, গাজী সাহেবের জন্য রূপগঞ্জ ধন্য। গাজী স্যার আছে, গাজী স্যার থাকবে। গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা এগিয়ে যাবে। কোন ষড়যন্ত্র গাজী সাহেবকে ঠেকাতে পারবে না। আমরা মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে আছি। যারা ষড়যন্ত্র করছে তারা দিনশেষে গাজীর কাছেই আসবে।
কাঞ্চন পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম বলেন, মেয়র হিসেবে আমি ১০ হাজার লোক নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে যাবো।
কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ জাহেদ আলী বলেন, গাজী সাহেবের নির্দেশে চানপাড়া এবং কয়েতপাড়া মিলে আমি ১৫ হাজার লোক নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যাবো।
যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির জনশক্তি ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক শাহিন মালুম বলেন, দাউদপুরে একজন ষড়যন্ত্র করছে। নেত্রীর সমাবেশে আমরা দাউদপুরের নেতৃবৃন্দ মিলে ১০ হাজার লোক নিয়ে যাবো। শেখ হাসিনার জন্য বাংলাদেশ ধন্য, গাজী সাহেবের জন্য রূপগঞ্জ ধন্য।
কাঞ্চন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল কলি বলেন, আমি ১০ হাজার লোক নিয়ে যাবো প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে।
এদিকে তারাব পৌরসভা থেকে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ তাদের নিজস্ব ব্যানারে যাবে।
মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ আলমাছ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় মুড়াপাড়া থেকে আমি ৫ হাজার লোক নিয়ে যাবো। গাজী সাহেবের নেতৃত্বে আমরা আছি এক সাথে।