টি.আই.আরিফ:
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সেক্রেটারী পদ নিয়ে দলটির নেতাদের মধ্যে খেলা শুরু হয়েছে। দলের ভেতরে এবং বাইরে নানা কথা হচ্ছে। হচ্ছে বিশ্লেষণ । সুত্রের খবর থানা কমিটির পর জেলা বিএনপির সম্মেলন করার নির্দেশ দিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। নারায়ণগঞ্জ শহরে বা শহরের বাইরে হতে পারে জেলা বিএনপির সম্মেলন। দলটির নেতারাও সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। নারায়ণগঞ্জে ক্ষমতাসীন দল জেলা বিএনপির সম্মেলন করতে না দিলে গুলশানে বিএনপির কার্যালয়ে হবে সম্মেলন। জেলা বিএনপির পদ প্রত্যাশীরা ইতোমধ্যে লবিং শুরু করে দিয়েছেন। সুত্রের খবর সদ্য বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা এড.তৈমূর আলম খন্দকারও কমিটিতে ফিরতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
কমিটির ব্যাপারে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আলহাজ¦ নাসির উদ্দিন বলেন, ত্যাগী কর্মীরা জেলা বিএনপির পদ পাবে। ভোটের মাধ্যমে সভাপতি- সেক্রেটারী নির্বাচিত হবে। এছাড়া যারা বিতর্কিত , যাদের কারণে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে তাদেরকে কমিটিতে রাখা হবে না। এটা তারেক রহমানের নির্দেশ।
সুত্রের খবর জেলা বিএনপির সভাপতি -সেক্রেটারী পদ প্রত্যাশীরা তলে তলে প্যানেল তৈরী করছে। কেউ কেউ আবার টাকা নিয়ে মাঠে নামছে। তারা নেতাদের দরজায় গিয়ে উকি দিচ্ছে। অধ্যাপক মামুন মাহমুদের পদে আসতে চায় রূপগঞ্জ থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক শরীফ আহমেদ টুটুল। শরীফ আহম্মেদ টুটুল নারায়নগঞ্জ জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী হওয়ার খবরে বিএনপি নেতাকর্মীদের মুখে নানা কথা শোনা যাচ্ছে। টুটুলের প্রতিপক্ষদের দাবি , সে মিটিং, মিছিলে খুব কম যায় । সে রিজভী এবং তারেক রহমানের নাম বিক্রি করে চলে। তার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ । দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে গত দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন শরীফ আহম্মেদ টুটুল। একই অপরাধে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক এড.তৈমূর আলম খন্দকারকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তৃণমূল বিএনপির প্রশ্ন টুটুল কেনো বহিস্কার হলো না? এছাড়া টুটুলের সাথে রূপগঞ্জ থানা বিএনপির আহবায়ক এড. হুমায়ুনের দ্বন্দ্ব ।
জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ¦ নাসির উদ্দিন, সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। তারা থানা, পৌর আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন। তাদেরকে নিয়েও আলোচনা দলটির ভিতরে। বিএনপির সাবেক এমপিরাও চাচ্ছে ক্লিন ইমেজের কোনো নেতা জেলা বিএনপির দায়িত্ব পাক। এ নিয়ে তারাও খেলছে। জেলা বিএনপির প্রত্যেক নেতার প্রতিপক্ষ সক্রিয় । এখন দেখার অপেক্ষা জেলা বিএনপির সভাপতি -সেক্রেটারী কে হয়।