সরকারি দেয়ালে কোচিং বিজ্ঞাপন দুঃখ জনক : এ বি সিদ্দিক
কারো সম্পৃক্ততা থাকলে অব্যশই ব্যবস্থা নেয়া হবে : আনোয়ার হোসেন
সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
দেয়াল ভাড়া দিয়ে ব্যবসা চলছে জেলা পরিষদের সরকারি জমি উপর নির্মিত সীমানা দেয়ালকে কেন্দ্র করে এমন অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন কোচিং প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে জেলা পরিষদের নিজস্ব জমিতে নির্মিত দেয়ালে। এছাড়া দেয়ালে বিভিন্ন কোচিং প্রতিষ্ঠানের কাছে বিজ্ঞাপনের জন্য ভাড়া দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চাষাড়া সরকারি তোলারাম কলেজের মোড়ে জেলা পরিষদের জমিতে দেয়াল নির্মান করে সীমানা প্রাচীর করা হয়। এই সীমানা প্রাচীর দেয়ালের উভয় পাশে বিজ্ঞাপন লেখা রয়েছে বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের নাম ও বিভিন্ন শিক্ষকের ব্যাচের নামের।
স্থানীয় সূত্রে জানা, জেলা পরিষদের জমির উপর সীমানা দেয়ালে বিজ্ঞাপন দেয়া আঁকা হয়েছে ১ মাস ধরে। এই জাগাটি জেলা পরিষদ নিজ দখলে রাখার জন্য দেয়ালের মাধ্যমে সীমানা নির্মাণ করা হয়। কলেজ রোড এলাকার কোচিং ব্যবসায়ীরা ব্যবসার পরিষর বৃদ্ধি করার জন্য এই সীমানা দেয়ালটি সড়কের মূল ফটকে থাকায় তাদের কোচিং এর বিজ্ঞাপন দিয়ে ঘিরে রেখেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় ফাষ্টফুট ব্যবসায়ী বলেন, দেয়ালে রং দিয়ে বিজ্ঞাপন তৈরি সময় এখানকার দায়িত্বে থাকা একজন জেলা পরিষদের কর্মচারি ছিলেন। তিনি তো জানেন এ সকল বিজ্ঞাপন অনুমনি নিয়ে করেছেন নাকি না নিয়ে করেছে।
অপর আরেকজন ব্যবসায়ী বলেন, দেয়ালে লেখা লেখি নিয়ে এখানে ঝামেলাও হয়েছে। একজন ব্যক্তি বেশ কয়েকদিন ধরে এখানের বিজ্ঞাপন লেখা লেখি করেছে। এটা সবাই দেখেছে জেলা পরিষদের লোকজনও দেখেছে তারাতো কিছু বলেননি।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সভাপতি এবি সিদ্দিক দৈনিক সংবাদচর্চকে বলেন, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কের জেলা পরিষদের জমির সীমানা দেয়ালে সরকারের আইন অমান্য করে বিজ্ঞপন তৈরি করা হয়েছে। সরকার আইন করে দিয়েছে কিন্তু প্রশাসন সামনেই এগুলো চলছে। কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে সরকারের নির্ধারিত আইনের প্রয়োগ করা উচিত জেলা প্রশাসকের এছাড়া জেলার সরকারি প্রতিষ্ঠানের দেয়ালে কোচিং ব্যবসায়ীদের বিজ্ঞাপন দুঃখ জনক।
তবে নারায়ণগঞ্জ পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন দৈনিক সংবাচর্চকে জানান, বিজ্ঞাপন, পোষ্টার ব্যানার অপসারনের দায়িত্ব নারায়ণগঞ্জ সিটি কপোরেশনের। কারন তারা কয়েকদিন পর পর অভিযান পরিচালনা করে এগুলোকে অপসারন করার জন্য। দেয়াল জেলা পরিষদের কিন্তু এই এলাকাটিও নাসিকের তাই নাসিকের উচিত এখানেও অভিযান করা। এছাড়া জেলা পরিষদের কেউ জড়িত আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের জেলা পরিষদের কেউ এর সাথে সম্পৃক্ত নেই আমার জানা মতে কিন্তু তার পরও জেলা পরিষদের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারি দেয়ালে বিজ্ঞাপনের বিষয়ে কারো সাথে সম্পৃক্ত থাকে আমার এমন প্রমান পাই তাহলে অব্যশই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।