আজ শনিবার, ২৫শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

না’গঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের বিদায়ী কমিটির সংবাদ সম্মেলন

জেলা ছাত্রলীগ

জেলা ছাত্রলীগ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বড় ধরনের বিতর্কের উর্ধ্বে থেকে কাজ করেছে সানি সুজনের নেতৃত্বে জেলা ছাত্রলীগ। শেখ সাফায়েত আলম সানি ও মিজানুর রহমান সুজনের দীর্ঘ সাত বছরের নেতৃত্বে শতভাগ সফল বলা না গেলেও সাতটি বছরের মধ্যে বাংলাদেশের যে কোন জেলার চেয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ সফল সেটা বলা যায়। তাইতো বিদায় বেলায় নতুনদের বরণ করে নিতে বক্তব্য দিতে গিয়ে ঠোট কাঁপলো দুজনেরই। চোখগুলো তাদের টলমল করলেও মুখে ছিল হাসি। অন্যান্য দিনের সভা সমাবেশে ঝাঁজালো বক্তব্য দিলেও বিদায় বেলায় বিমর্ষই লাগলো তাদের বক্তব্যের সময়। বক্তব্যকালেও সানি সুজনকে অগোছালো লাগলো।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ বিদায় নিয়ে নতুন কমিটিকে ফুলের শুভেচ্ছা দিয়ে বরণ করেন ছাত্র নেতাদের আইডল সানি ও সুজন। সাতটি বছরে তাদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান বড় ধরনের কোন অভিযোগ ওঠেনি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের যে কোন সভা সমাবেশে জোড়ালো শ্লোগানটা প্রথমেই তুলতেন প্রচার দপ্তর সম্পাদক মিজানুর রহমান সজীব। হয়তো এ শ্লোগান মাস্টারকে ছাত্রলীগের শ্লোগান তুলতে আর দেখা যাবেনা। আসবে নতুন কেউ। নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ কাজ করেছে হলুদের মত। হলুদ যেমন সব তরকারিতে লাগে তেমনি নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের ভুমিকা ছিল আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সভা সমাবেশেও। কাজ করেছে সরকারি বেসরকারি সকল রাষ্ট্রীয় দিবসগুলোতেও। অবদান রেখেছে সরকারের উন্নয়ন কাজে সহযোগীতার ভুমিকা রেখে।
কাজ করেছে যানজট নিরসনে, বন্যায় খড়ায় ছুটে গেছে সাধারণ মানুষের কাছে। কনকনে শীতে শীতার্তদের কাছে দৌড়ে গিয়েছেন কম্বল নিয়ে। ঈদ পূজায় ধর্মীয় উৎসবে অসহায়দের দিকে সহায়তার হাত বাড়িয়েছিলেন তারা। শিক্ষায় সেবায় এমনকি পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেয়ার নিরাপত্তায়ও ছিলেন নিয়োজিত জেলা ছাত্রলীগ। নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা এমপি শামীম ওসমানকে সামনে রেখে এগিয়ে গিয়ে শেষ হলো তাদের সাতটি বছরের নেতৃত্ব।
গত ২৯ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন হলেও বৃহস্পতিবার রাতে ওই দুটি কমিটি গঠনের বিষয় নারায়ণগঞ্জে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়। কমিটি ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের সামনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় ছাত্রলীগ নেতারা। ওই সময় আগের কমিটির নেতারা নবগঠিত কমিটির নেতাদের শুভেচ্ছা জানান।
নতুন দুটি কমিটিতে স্থান পাওয়া ছাত্রলীগ নেতারা নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের নেতৃত্বে রাজনীতি করেন। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বলছেন, জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি পরিচ্ছন্ন ও প্রকৃত ছাত্রলীগ নেতাদের দিয়ে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটিতে এমপি শামীম ওসমানের জয়জয়কার। এ চারজনই শামীম ওসমানের একনিষ্ট বিশ্বস্ত কর্মী হিসেবে পরিচিত।
কমিটিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হয়েছেন আজিজুর রহমান আজিজ ও সেক্রেটারী হয়েছেন আশরাফুল ইসমাইল রাফেল প্রধান। তাঁদের মধ্যে আজিজুর রহমান আজিজ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও রাফেল প্রধান জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পদে ছিলেন।
অপরদিকে মহানগর ছাত্রলীগের কমিটিতে সভাপতি করা হয়েছে মহানগরের আহবায়ক পদে থাকা হাবিবুর রহমান রিয়াদ প্রধানকে এবং সেক্রেটারী হয়েছেন যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্বে থাকা হাসনাত রহমান বিন্দু।
গত ২৯ এপ্রিল ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এস আর সোহাগ ও সেক্রেটারী জাকির হোসেন আগামী ১ বছরের জন্য এসব কমিটির অনুমোদন দেয়।
২০১১ সালের জুনে সাফায়েত আলম সানিকে সভাপতি ও মিজানুর রহমান সুজনকে সাধারণ সম্পাদক করে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি গঠন করা হয়। অন্যদিকে, ২০১৫ সালে ৪ সদস্যের মহানগর ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।