আজ মঙ্গলবার, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জুবিলি অ্যাওয়ার্ড পেলো ফায়ার সার্ভিস

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়ার অব্যাহত প্রচেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর লাভ করেছে বিসিআরএ সিলভার জুবিলি অ্যাওয়ার্ড ২০২০। বাংলাদেশ কালচারাল রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিআরএ) ২৮ নভেম্বর শনিবার তাদের ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা কমপ্লেক্সে আয়োজিত এক বর্ণিল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই সম্মাননা প্রদান করে। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের মাননীয় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল প্লাটফরমের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান উদ্বোধন শেষে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব কে এম খালিদ এমপি মহোদয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের   মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ সাজ্জাদ হোসাইন, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, এমফিল মহোদয়ের হাতে এই সম্মাননা তুলে দেন। সভাপতিত্বি করেন বিসিআরএ-এর সভাপতি জনাব অভি চৌধুরী।

অনুষ্ঠানের আয়োজক বিসিআরএ-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সেবার মান আধুনিক ও গণমুখী করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত প্রতিটি উপজেলায় একটি করে ফায়ার স্টেশন নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। অগ্নি নির্বাপণ ও উদ্ধারকাজের জন্য আধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তিসমৃদ্ধ সরঞ্জাম সংগ্রহ করা হচ্ছে। বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি সর্বাধুনিক সুবিধাসংবলিত ফায়ার একাডেমি প্রতিষ্ঠার জন্য মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় প্রায় ১০০ একর জমির ওপর ‘বঙ্গবন্ধু ফায়ার একাডেমি’ গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ফায়ার একাডেমিতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণার্থীদেরকে আধুনিক ও সময়োপযোগী প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত করে চৌকস অগ্নিযোদ্ধা হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির জনবল ২৫ হাজারে উন্নীত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এই সরকারের সময়ে ২৩২টি নতুন ফায়ার স্টেশন চালু করা হয়েছে। সারা দেশে এখন চালু ফায়ার স্টেশনের সংখ্যা ৪৩৬টি। ফায়ার স্টেশনের সংখ্যা ৭২০টিতে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। অনুষ্ঠানে বক্তাগণ সকল দিক থেকে ফায়ার সার্ভিসের সমৃদ্ধি অর্জন করায় প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অভিনন্দন জানান।

উল্লেখ্য, পূর্বের তুলনায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর সক্ষমতা যেমন বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে; তেমনি সেবাদানের ক্ষেত্রও সম্প্রসারিত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে নারায়ণগঞ্জের তল্লা মসজিদের অগ্নি দুর্ঘটনা; মহাখালী, মোহাম্মদপুর ও মিরপুর বস্তিতে অগ্নি দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে তাদের সেই সক্ষমতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। জঙ্গি দমন অভিযানে অংশগ্রহণ, ঝড়ে বিপর্যস্ত রাস্তা যান চলাচলের উপযোগীকরণ, উৎসবে ঘরমুখো মানুষকে নিরাপত্তা সেবা প্রদানসহ ফায়ার সার্ভিস এখন বহুমাত্রিক সেবাকাজে সম্পৃক্ত।

সম্মাননা প্রাপ্তির পর এক প্রতিক্রিয়ায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, “সম্মাননা প্রদান করার জন্য আমি ফায়ার সার্ভিসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ কালচারাল রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিআরএ)কে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমি মনে করি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী সিদ্ধান্ত, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সুরক্ষা সেবা বিভাগের অব্যাহত সমর্থন ও সহযোগিতা এবং ফায়ার সার্ভিসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্মিলিত চেষ্টার ফসল এই স্বীকৃতি। সম্মাননা প্রাপ্তি নিঃসেন্দেহে একটি ভালো লাগার বিষয়। এটির মাধ্যমে কাজের স্বীকৃতি প্রতিষ্ঠিত হয়; পাশাপাশি দায়িত্ববোধ আরো বৃদ্ধি পায়।” সকল দুর্যোগে প্রথম সাড়া দেয়া সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে আধুনিক ও উন্নত সেবা বাহিনীতে পরিণত করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্যজন আতাউর রহমান, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর পরিচালক (অপা: মেইন) লে. কর্ণেল জিল্লুর রহমান। খবর বিজ্ঞপ্তির।