আজ মঙ্গলবার, ২১শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

রূপগঞ্জে থানায় জিডি করেও শেষ রক্ষা পায়নি যুবলীগ নেতা জাকির

জিডি করেও

রূপগঞ্জে থানায় জিডি করেও শেষ রক্ষা
পায়নি যুবলীগ নেতা জাকির জিডি করেও
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতাঃ
রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা ইউনিয়ন যুবলীগের কর্মী জাকির হোসেন জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে রূপগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়রি করেও শেষ রক্ষা পাননি। ভূলতায় গত ৩১ জানুয়ারি সকাল ৭টায় দুবৃত্তরা প্রকাশ্যে দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করে জাকির হোসেনকে। তার গলায়, পিঠে, কাঁদে ও হাতের কব্জিসহ দেহের ৯টি স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত পাওয়া গেছে। হত্যাকান্ডের পর থেকে প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য বেরিয়ে আসছে। মর্তুজাবাদ গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে জাকির হোসেন।

নিহতের স্ত্রী ফারজানা বেগম জানান, তার স্বামী জাকির হোসেন গত ৬ বছর ধরে ভুলতা গাউছিয়া তাঁতবাজারের সামনে পাকারাস্তার পাশে কাঁচামালের ব্যবসা করে আসছিলেন। এসময় বলাইখা গ্রামের কামরুলের ছেলে কামাল হোসেন (৪৫), ছিদ্দিকের ছেলে বাবু (৩২), সালাম ড্রাইভারের ছেলে মামুনসহ অজ্ঞাত ২/৩ জন যুবক দোকান তুলে দেয়ার জন্য পাঁয়তারা করে আসছিল। এক পর্যায়ে দোকান সরিয়ে নেয়ার জন্য তারা জাকির হোসেনকে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে।

অভিযুক্তরা গত ১০ ডিসেম্বর সকালে দোকানে এসে অবিলম্বে দোকান সরিয়ে নিতে নির্দেশ প্রদান করে। অন্যথায় জাকির হোসেনকে সুযোগ মতো জানে মেরে ফেলবে বলে ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। পরে গত ২৩ ডিসেম্বর জাকির হোসেন জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে রূপগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়রি করেন। রূপগঞ্জ থানার ডায়রি নং ১১০৬। তারিখ ২৩/১২/২০১৭ইং। এঘটনায় পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তদন্ত কিংবা প্রশাসনিক কোন প্রদক্ষেপ নেয়নি রূপগঞ্জ থানা পুলিশ। এরকম বহু জিডি কিংবা অভিযোগের কার্যক্রর ব্যবস্থা পুলিশ গ্রহণ করে না বলে অভিযোগ রয়েছে। এজাহার নামীয় মূল আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ নিরব ভূমিকা পালন করছেন। এছাড়া মামলার আসামি ও তাদের নিয়োজিত সন্ত্রাসীরা জাকির হোসেনের পরিবার পরিজনের সদস্যদের ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছে বলে বাদি পক্ষ দাবি করেছেন।

ভূক্তভোগীরা জানায়, রূপগঞ্জ থানায় টাকার বিনিময়ে কিংবা তদবির করে জিডি করতে হয়। সনদপত্র হারিয়েছে থেকে শুরু করে নিখোজ সংবাদ পর্যন্ত টাকা দিয়েই জিডি করতে হয়। জিডির বিষয়ের গুরুত্বের উপর টাকার পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়। টাকা কিংবা বিশেষ তদবির ছাড়া কোন জিডি এন্ট্রি করা যায় না বলে ভূক্তভোগীরা জানিয়েছেন।
রূপগঞ্জ থানার ওসি ইসমাইল হোসেন সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জিডি করতে রূপগঞ্জ থানায় কোন টাকা লাগে না। অভিযোগ পেলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া জাকির হোসেনের দায়েরকৃত জিডির তখন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল কিনা তা খুঁজে দেখা হবে। না হয়ে থাকলে কেন হয়নি তা চিহ্নিত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।