নিজস্ব প্রতিবেদক:
ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি, জামায়াতের ঢাকা মহানগর মজলিসে শুরার সদস্য মজিবুর রহমান মঞ্জুকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মঞ্জু নিজেই তার ফেসবুকে এ তথ্য জানান।
তিনি ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর মকবুল আহমদের পক্ষ থেকে নির্বাহী পরিষদের একজন সদস্য আমাকে জানান যে, আমার দলীয় সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।’
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মঞ্জুর বহিষ্কার নিয়ে জামায়াতে ইসলামী গণমাধ্যমে কোনও বিজ্ঞপ্তি দেয়নি। তবে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘মজিবুর রহমান মঞ্জুকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর বেশি কিছু বলতে পারবো না।’
মজিবুর রহমান ছাত্র শিবিরের দ্বিতীয় সভাপতি যাকে জামায়াতের সংস্কার চাওয়ায় বহিষ্কার করা হয়েছে। এর আগে ১৯৮২ সালে শিবিরের সাবেক সভাপতি আহমদ আবদুল কাদেরকে সংগঠন থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ওই কমিটির সেক্রেটারি ফরীদ আহমদ রেজাকেও সরে যেতে হয়েছিল।
জামায়াতের বিভিন্ন স্তরের নেতারা জানান, দলের সংস্কার চাওয়ায় ও বিভিন্ন মহলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের কারণে মজিবুর রহমান মঞ্জুকে সতর্ক করা হয়েছিলো। তিনি নিজেও তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ কথা জানিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার দুই সদস্য জানান, মঞ্জু জামায়াতের ঢাকা মহানগর মজলিসে শুরার সদস্য ছিলেন। এ বিষয়ে জানতে চেয়ে দলটির নির্বাহী পরিষদের একাধিক সদস্যকে ফোন করা হলে তারা কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
দল থেকে সদ্য পদত্যাগ করা ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন মজিবুর রহমান মঞ্জু। স্ট্যাটাসে মঞ্জু বলেন, ‘বেশ কয়েক বছর যাবত সংগঠনের কিছু বিষয়ে আমি দ্বিমত করে আসছিলাম। মৌখিক ও লিখিতভাবে বৈঠকে আমি প্রায়ই আমার দ্বিমত ও পরামর্শের কথা দায়িত্বশীলদের জানিয়েছি।’ সুত্র :বাংলা ট্রিবিউন