নিজস্ব প্রতিবেদক:
সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর মাঝেরচর-ধন্ধিবাজার সড়কের ইট, বালু, সুরকি ও মাটি সরে গিয়ে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। সড়কটির বিভিন্ন স্থানে বড় গর্ত ও খানাখন্দে পরিনত হয়ে বিভিন্ন যানবাহন দূর্ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডির) অধীনে থাকা এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে গত ৬ মাসে বিভিন্ন যানবাহন দূর্ঘটনায় পরে কমপক্ষে ৩০ জন পরিবহন যাত্রী মারাত্নকভাবে আহত হয়েছে। এলাকাবাসী সড়কটি সংস্কারের ব্যাপারে প্রশাসনের উধ্বর্তন মহলে বার বার আবেদন কররেও কোন ফল না পাওয়ায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের জামপুর মাঝেরচর-ধন্ধিবাজার সড়কে অতি বৃষ্টি, ভারি যানবাহন চলাচল ও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে বিভিন্ন জায়গায় ইট, বালু, সুরকি ও মাটি সরে গিয়ে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন বিভিন্ন যানবাহন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে। মিরেরবাগ গ্রামের হোসেন জানান, জামপুর মাঝেরচর-ধন্ধিবাজার সড়কটি বিগত ৩বছর আগেই খানাখন্দে পরিনত হয়। সড়কটি সংষ্কারের ব্যাপারে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে প্রশাসনের উধ্বর্তন মহলে বার বার আবেদন করা হলেও কোন প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
জামপুর কদমতলী গ্রামের সাঈদ জানান, জামপুর মাঝেরচর-ধন্ধিবাজার সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ব্যবসায়ী, চাকুরিজীবি ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানের ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার হাজার হাজার লোক চলাচল করে। খানাখন্দে পরিনত হওয়া এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করতে গিয়ে এলাকাবাসী চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে। গত ৬ মাসে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে বিভিন্ন যানবাহন দূর্ঘটনায় পতিত হয়ে কমপক্ষে ৩০ জন যাত্রী আহত হয়েছে।
সোনারগাঁ উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মোঃ আরজুরুল হক এই প্রতিবেদককে জানান, দুটি সড়কের সংষ্কার কাজ একটি প্যাকেজে করার কার্যাদেশ পেয়েছিল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি। জামপুর মাঝেরচর-ধন্ধিবাজার সড়কসহ দুটি সড়কেরই সংষ্কার কাজ বেঁধে দেওয়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক শুরু না করায় তা গত বুধবার বাতিল করা হয়েছে। নতুন করে দ্রুত আবারও জামপুর মাঝেরচর-ধন্ধিবাজার সড়কের টেন্ডার আহবান করা হবে। ২০২০ সালের মার্চ মাসে টেন্ডারের মাধ্যমে জামপুর মাঝেরচর-ধন্ধিবাজার সড়কসহ আরেকটি সড়ক সংষ্কার কাজের কার্যাদেশ পেয়েছিল ডলি কনেস্ট্্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।