নবকুমার:
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেছেন, কায়েতপাড়াবাসীকে আজকে বলতে চাই আপনারা নিজেদের বুকে হাত দিয়ে প্রশ্ন করেন আপনারা কোথায় ছিলেন এখন কোথায় আছেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে আমি গাড়ি নিয়ে এখানে ডুকতে পারি নাই। কোথাও নৌকা কোথাও মোটর সাইকেল নিয়ে ডুকতে হয়েছে। এখন আপনারা প্রতিটি অঞ্চলে গাড়ি নিয়ে চলতে পারছেন। অন্য এলাকায় থেকে কাজ নিয়ে এসে কায়েতপাড়ায় করেছি। শীতলক্ষ্যা নদীর উপর গাজী সেতু নির্মাণ হয়েছে। স্কুল, কলেজ, মসজিদ , মাদ্রাসা, রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন করেছি। দুই এক মাসের মধ্যে কেওঢালা ব্রিজের নির্মাণ কাজ শুরু হবে। নগর পাড়া ব্রিজ হবে। ডেমরা ব্রিজ হবে। সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন কাজ আমি কায়েতপাড়া ইউনিয়নে করেছি। আমি যখন থাকবো না তখন বুঝবেন আমি কি করে গেছি।
তিনি বলেন, অনেকে গ্যাসের কথা বলেছে। কায়েতপাড়ায় গ্যাস আমি কাটি নাই। আমি গ্যাস সংযোগ রাখার চেষ্টা করছি। দলাদলির কারণে এখানে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সুযোগ দিলে আপনারা আবার গ্যাস সংযোগ পাবেন। রূপগঞ্জে শতভাগ বিদ্যুত সংযোগ দেওয়া হয়েছে। যারা বিদ্যুত পান নাই আমাকে জানান ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিদ্যুত সংযোগ দেওয়া হবে। যে খানে উন্নয়ন দরকার আমাকে জানাবেন আমি করে দেবো। জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলেই রাষ্ট্রের উন্নয়ন হচ্ছে। তিনি ক্ষমতায় না থাকলে রাষ্ট্রের এতো উন্নয়ন হত না।
শুক্রবার ১৫ এপ্রিল বিকালে কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গোলাম দস্তগীর গাজী এমপি এসব কথা বলেন।
রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেন, এখন বিএনপি মাঠে নামছে। বিএনপি মাঠে নেমে কয় আওয়ামীলীগ কি করলো? আপনারা কি চোখে দেখেন না আওয়ামী লীগ কি করছে। জনগণ আপনাদের কে আওয়ামী লীগের উন্নয়ন দেখাবে। আর আপনারা (বিএনপি নেতারা) যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন কি করেছেন? জনগণ আপনাদের উন্নয়ন দেখতে চায়। নির্বাচিত হওয়ার আগে মানুষের মন জয় করতে হয়। বিএনপি নেতারা খালি লুটপাট করে গেছে । তারা বিদ্যুতের উন্নয়ন করে নাই। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করে নাই। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার উন্নয়ন করে নাই। তখন মানুষ রমজান মাসে ইফতার করছে তারাবি নামাজ পড়ছে মোমবাতি, হারিকেন জ¦ালিয়ে। এখন বিদ্যুত যায় না ,তারাবি নামাজের সময় হারিকেন লাগে না।
দলীয় নেতাকর্মী ও কায়েতপাড়াবাসীর উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, চোখে আঙ্গুল দিয়ে বিএনপি নেতাদের দেখিয়ে দেবেন এই উন্নয়ন আওয়ামী লীগ সরকার করছে। আপনারা (বিএনপি নেতারা) আগে উন্নয়ন দেখান তারপরে ভোট চাইবেন। আওয়ামী লীগের উন্নয়নের সুফল বিএনপি নেতাকর্মীরাও ভোগ করছে। নৌকায় ভোট দিলে সাধারণ মানুষের উপকার হয়। নৌকার প্রতি সাধারণ মানুষের দরদ আছে।
তিনি বলেন, জটিল রোগে যারা ভুগছেন তারা উপজেলায় গিয়ে দরখাস্ত করবেন এক মাসের মধ্যে সরকার থেকে ৫০ হাজার করে টাকা পাবেন। এই টাকা অন্য কোনো সরকার দেয়নি। এই টাকা দিয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি মানবিক নেত্রী। প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে তার নজর আছে।
এসময় রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ জাহেদ আলী, প্যানেল চেয়ারম্যান মো: বজলুর রহমান, ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন, ওমর ফারুক, সেলিনা আক্তার রিতা, মানিক আহমেদ, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ সাইফুল ইসলাম, রবি রায়, রূপগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মাহাবুবুর রহমান মেহের, রূপগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন, রূপগঞ্জ উপজেলা মহিলা লীগ সাধারণ সম্পাদক শীলা রানী পাল, তারাব পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বাবেল , রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ফয়সাল শিকদার ,সাধারণ সম্পাদক মাছুম, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আশিক ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক রাসেল, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আলমগীর হোসেন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক নাদীম হোসেন অপুসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।