আজ শুক্রবার, ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চুপ ছিলেন মামুনুল হক

নিজস্ব প্রতিবেদক

ধর্ষণ মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছে সোনারগায়ের রয়্যাল রিসোর্টের তিন কর্মচারী । তারা হলেন রিসোর্টের রিসিপশন কর্মকর্তা নাজমুল হাসান অনি, সুপার ভাইজার আবদুল আজিজ পলাশ ও আনসার সদস্য রতন বড়াল। সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এর আদালতে এ সাক্ষগ্রহন হয়। এর আগে সকালে কাশিমপুর কারাগার থেকে মামুনুলকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়। সাড়ে বার টার দিকে তাকে আদালতে তোলা হলে দুপুর দুইটা পর্যন্ত সাক্ষ্য গ্রহণ চলে। পরে মামুনুল হককে গাজীপুর কারাগারে পাঠানো হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রকিবুদ্দিন আহমেদ জানান, গত ২৪ নভেম্বর বিচারক নাজমুল হাসান শ্যামলের আদালতে জবানবন্দি দেন মামলার বাদি ঝর্ণা বেগম। আজ আদালতে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছে মামলার তিনজন সাক্ষী। তারা বিজ্ঞ আদালতে জানিয়েছেন কবে কখন কেমন করে ঝর্ণা বেগম কে নিয়ে ওই রিসোর্টে উঠে মামুনুল হক।

আইনজীবী রকিব উদ্দিন আরো জানান, আসামীপক্ষের আইনজীবী ঝর্ণা বেগম কে মামুনুল হক এর ২য় স্ত্রী দাবি করলেও কোন কাবিননামা আদালতে পেশ করেননি।
আসামী পক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক নয়ন জানান, আমরা আদালতে বলেছি ঝর্ণা বেগম মামুনুল হকের ২য় স্ত্রী। তৃতীয় পক্ষের ইন্ধনে তিনি এ মামলা করেছেন।
আদালত সুত্র জানায়, ২৪ নভেম্বর ঝর্ণার সাক্ষ্য দেয়ার সময়ে মামুনুল কয়েকবার ঝর্ণা কে উদ্দেশ্য করে কথা বললেও গতকাল তিনি চুপচাপ ছিলেন।

গত ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টে জান্নাত আরা ঝর্ণার সাথে একটি কক্ষে স্থানীয়রা অবরুদ্ধ করেন মামুনুলকে। এরপর ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুলের নামে ধর্ষণ মামলা করেন ঝর্ণা। এতে তিনি অভিযোগ করেন, মামুনুল বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে দুই বছর ধরে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়েছেন তবে তাকে বিয়ে করেননি। পরে ঝর্ণার মামলার পর মামুননুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ৩ নভেম্বর ধর্ষণ মামলায় মামুনুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। ২৪ নভেম্বর আদালতে সাক্ষ্য দেন ঝর্ণা।