আজ সোমবার, ৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চালু হচ্ছে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ পদক

সজিব খান: সমাজকল্যাণে বিশেষ অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ পদক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রান্তিক, অনগ্রসর, সুবিধাবঞ্চিত এবং প্রতিবন্ধীদের জীবনমান উন্নয়নে অবদানের জন্য প্রতি বছর ২ জানুয়ারি জাতীয় সমাজসেবা দিবসে পাঁচজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এই পদক দেওয়া হবে।
গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি সমাজকল্যাণ পদক নীতিমালা, ২০১৮’ এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।

মিয়ানমারের রাখাইনে নিপীড়নের মুখে পালিয়ে আসা লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ায় গত বছর যুক্তরাজ্যভিত্তিক ‘চ্যানেল ফোর’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ অভিধায় ভূষিত করে। সেই নামেই এ জাতীয় পদক চালু করছে সরকার।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বাজেট, কার্যক্রম ও মূল্যায়ন) ড. মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশ্ব ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ ঘোষণা করেছে। সারাবিশ্বে তিনি সম্মান পেয়েছেন, আমরাও তার সম্মানে এই পদক চালু করছি। আগামী বছর ২ জানুয়ারিতে এই পদক দেওয়া হবে।’
এই পুরস্কারের নীতিমালা অন্যান্য জাতীয় পুরস্কারের মতই জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদেও শফিউল বলেন, পাঁচজন ব্যক্তি ও সংস্থাকে প্রতি বছর সমাজকল্যাণ দিবসে এই পদক দেওয়া হবে।

পদক দেওয়া হবে পাঁচ ক্ষেত্রে:
১) বয়স্ক, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসনে অবদান।
২) প্রান্তিক, অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর সামাজিক সুরক্ষা, আত্মনির্ভরশীলকরণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি।
৩) প্রতিবন্ধী ও নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কল্যাণ, জীবনমান উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, ইনক্লুসিভ শিক্ষা বাস্তবায়ন ও সামাজিক সুরক্ষায় উল্লেখযোগ্য অবদান।
৪) সুবিধাবঞ্চিত, আইনের সংস্পর্শে আসা, আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত শিশু, কারামুক্ত কয়েদি, ভবঘুরে ও নিরাশ্রয় ব্যক্তিদের কল্যাণ, উন্নয়ন, পুনঃএকত্রীকরণ।
৫) কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের এমন কোনো কর্ম যা সমাজের মানুষের মেধা ও মননের বিকাশ, জীবনমান ও পরিবেশের উন্নয়ন, সমাজবদ্ধ মানুষের শারিরীক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ও সর্বোপরি মানবকল্যাণ ও মানবতাবোধে সমাজ বা রাষ্ট্রকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করার কার্যক্রম।

শফিউল বলেন, পুরস্কারপ্রাপ্তদের ১৮ ক্যারেট মানের ২৫ গ্রাম সোনায় তৈরি একটি পদক, মাদার অব হিউম্যানিটি সমাজকল্যাণ পদকের রেপ্লিকা, দুই লাখ টাকার চেক এবং সম্মাননা সনদ দেওয়া হবে।

এই জাতীয় পুরস্কার স্বাধীনতা পদক, একুশে পদকের সমমানের হবে বলেও জানান তিনি।

প্রতি বছর কারা পুরস্কার পাবেন তা ঠিক করতে জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসকের (জডিসি) নেতৃত্বে একটি এবং জাতীয় পর্যায়ে মন্ত্রিসভার সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি কমিটি থাকবে।