আজ শুক্রবার, ১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চাপেও সক্রিয় বিএনপি

সংবাদচর্চা রিপোর্ট
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে ধীরে ধীরে সক্রিয় হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীরা। একের পর এক পুলিশি বাধা থাকলেও মাঝে মাঝেই মিছিল নিয়ে বেরিয়ে পড়েন তারা। গত কয়েকবছর ধরে হাতেগোনা কয়েকজনকে নিয়ে সভা ও মিছিল করলেও সম্প্রতি নেতাকর্মীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এনিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভেতর মাথাব্যাথা না থাকলেও রাজনীতিতে আশার আলো দেখছেন বিএনপির কর্মী সমর্থকরা।

তবে শুধু নারায়ণগঞ্জ নয়, রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানেই সক্রিয় হচ্ছে দলের নেতাকর্মীরা। সারাবছর দলীয় কর্মসূচীর অপেক্ষায় থাকা নেতারা কেন্দ্রের সবুজ সংকেত পেয়েই নেমে পড়েছেন রাজপথে। পুলিশি বাধা থাকলেও অনেকক্ষেত্রে তা উপেক্ষা করেই জোড় গলায় খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবী করছেন তারা। আর এক্ষেত্রে নারায়ণগঞ্জে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন মহানগর বিএনপি ও মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা।

জানা যায়, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাতে দলীয় ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। আর সে কারনে বেশ সরগরম হবার চেষ্টায় রয়েছেন তারা। তবে কেন্দ্র থেকে সহিংস হবার নির্দেশনা দেয়া হয়নি কাউকেই। কারন হিসেবে বিএনপির নেতারা জানান, বেগম খালেদা জিয়া তার মুক্তির জন্য দেশে অরাজকতা করতে নিষেধ করেছেন। তার মুক্তির জন্য এখনও আদালতের প্রতি বিশ্বাস রেখেছেন। আর সে কারনেই বিএনপি সক্রিয় হলেও সহিংস আন্দোলনের কোন শংকা প্রশাসনের ভেতর নেই। তাছাড়া দীর্ঘদিন পর এসকল মিছিল মিটিং এর মাধ্যমে নেতাকর্মীরা পুনরুজ্জীবিত হচ্ছেন যা নিষ্ক্রিয় বিএনপির জন্য বেশ সুফল বয়ে আনবে বলে মনে করছেন নেতৃবৃন্দ।

এদিকে গত কয়েকমাসে বেশ কিছু গনমাধ্যমের প্রতিবেদনে যেসকল নেতাকর্মীরা সক্রিয় থাকেন তার নাম উঠে আসে। বিশেষ করে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, সহ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপু, মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রোজেল, জেলা মৎসজীবী দলের আহ্বায়ক আনোয়ার প্রধান, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মন্টু মেম্বার, জেলা ছাত্রদলে সভাপতি মশিউর রহমান রনি প্রমুখ।

তবে এদের ভেতর একক ভাবে বার বার উঠে আসে মহানগর যুবদলের সভাপতি কাউন্সিলর খোরশেদের নাম। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে টানা কয়েকমাস জেলে থেকেও তাতে ভীত না হয়ে নিয়মিত নেতৃত্ব দিয়ে মিছিল মিটিং করে যাচ্ছেন তিনি। ধীরে ধীরে তরুন ও যুবকদের নিকট আকর্ষনীয় ব্যক্তিত্বে পরিনত হচ্ছেন এই নেতা। জনপ্রতিনিধি হয়ে বিএনপি সমর্থিত নেতারা ক্ষমতাসীনদের দ্বারস্থ হলেও ব্যক্তিক্রম ছিলেন তিনি। আর এতে করে নারায়ণগঞ্জ ও কেন্দ্রীয় ভাবে বেশ গুরুত্বপূর্ন নেতায় আসীন হয়েছেন তিনি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলমান কৌশলে বিএনপি এভাবে এগিয়ে যেতে পারলে রাজনৈতিক ভাবে লাভবান হবে বিএনপি। স্বাভাবিক ভাবেই খালেদা জিয়া মুক্তি পেলেও রাজনীতিতে ভুমিকা তার আগের মত থাকবে না। কিন্তু তার মত প্রবীন নেতাকে কেন্দ্র করে মৃতপ্রায় দলটিতে যদি প্রাণ ফিরে আসে তবে দীর্ঘমেয়াদী সুফল ভোগ করবেন বিএনপির পরবর্তী প্রজন্ম। পাশাপাশি সক্রিয় এসকল নেতাদের দলীয় ভাবে মূল্যায়িত করলে কমিটি বানিজ্যে নিমজ্জিত নেতাদের কবল থেকে অচিরেই বেরিয়ে আসতে সক্ষম হবে দলের নেতাকর্মীরা।