নিজস্ব প্রতিবেদক :
সদর উপজেলাধীন গোনগরে অবস্থিত স্লাব বিহীন ড্রেনটি আওয়ালের ঘাট সড়ক নামে পরিচিত। এখান দিয়ে চলাচল করেন গোগনগরের সৈয়দপুর এবং আলীরটেক ও মধ্যেচরের গ্রামের হাজারো মানুষ। জীবিকার তাগিদে প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে মানুষ যাতায়াত করলেও তাদের মাঝে এক আতংক বিরাজ করে। এই আতংকের কারণ হলো কখন যেন ড্রেনে পরে পা মচকে যাওয়া। বিশেষ করে রাতের অন্ধকারে পথ চলতে বিপাকের পড়ার আশংকা করে অনেকে। ড্রেন নির্মানে স্লাব না থাকায় ওই খানে ময়লা পরে ড্রেনের পানি আসা যাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় নাজির মাদবরের বাড়ি হতে আফজালের দোকান পর্যন্ত ড্রেনের কাজ অসম্পূর্ণ থেকে যায়। একই সাথে উত্তর মর্সিনবন্দ মসজিদ হতে রানুর বাড়ি পর্যন্ত ড্রেন হলেও স্লাব নেই। ড্রেনটি আওয়ালে ঘাটের খাল পর্যন্ত করার কথা হলেও অর্ধে নির্মান করেছেন সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষ। এতে করে ময়লা পানির র্দুগন্ধের কারনে নাক ধরে যেতে হয় পথ চারিদের।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, উত্তর মসিনাবন্দ জামে মসজিদ হতে রানুর বাড়ি পর্যস্ত ড্রেনের স্লাব নেই। এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে অনেক মানুষ আহত হয়েছে। কিছু দিন আগে এক বৃদ্ধ মহিলা ড্রেনে পরে যায়। তখন তার পা মচকে যাওয়ায় তাৎখনিক ভাবে আমরা টাকা তুলে তারচিকিৎসার ব্যবস্থা করি। জনপ্রতিনিধিরা অকার্যকর ড্রেন নির্মান করেছে। তাদের নির্মনাধীন ড্রেন দিয়ে পানি চলাচল হয় না। ময়লা আবর্জনা গিয়ে ড্রেন বরপুর থাকায় পানি যেতে পারেনা এবং ড্রেনের পাশ দিয়ে হাঁটার জায়গাটুকুতেও মাটি দিয়ে ভরাট করে নাই জনপ্রতিনিধি। তাই তাদের চলাচলের জন্যে এলাকাবাসী মিলিত হয়ে ড্রেনের পাশে মাটি ভরাট করে চলাচলের উপযোগী করেন। এলাকার মেম্বার চেয়ারম্যানকে বললে তারা আমাদের বলে এই করে দিতাছি কিন্তু কাজ আর করে না। আমরা শুনেছি এটা সংস্কার করার জন্য কয়েক বার টেন্ডার দেয়া হয়েছে। এমনকি মোতলিব মেম্বারকে নাকি ১০ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। আমরা গোগনগর ইউনিয়নের চেয়াম্যান নওশেদকে ডেকে এনে দেখিয়েছি। তাদেরকে বলেছি আপনারা জনগনের প্রতনিধি জনগনের বিপদ আপদ দেখা আপনাদের দায়িত্ব। আল¬াহর দিকে চেয়ে এই কাজটা করেদেন। কন্তিু তারা আশ্বাস ছাড়া আর কিছু দিতে পারেনি।
গোগনগর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য মোতালিব বলেন, ড্রেনের কাজ যত টুকু হয়েছে তা আমার নিজের টাকা দিয়ে করছি। কাজটি কত টাকা ব্যয় হয়েছে তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তার হিসেব রাখিনি। মাস দুয়েক পরে এই সড়কের ড্রেনের কাজ ধরা হবে।
গোগনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নওশেদ বলেন, আগের চেয়ারম্যানদের থেকে আমার আমলে অনেক কাজ হয়েছে যা আপনারা দেখেছেন। এই সড়কের ড্রেন নির্মান করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। মেম্বারের একক টাকা দিয়ে করা হয়নি। অসম্পূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন করার জন্য আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এর এর কাজ ধরা হবে।