সংবাদচর্চা রিপোর্ট
ফতুল্লা থানা বিএনপির কর্নধার আলোচিত নেতা শিল্পপতি শাহ আলম আত্মগোপনে চলে গেছেন। অন্যদিকে তারই শিষ্য ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস ফুরফরা মেজাজে চলাফেরা করছেন সরকার দলীয় নেতাদের সাথে সমঝোতা করে।
জানা যায়, ফতুল্লা থানা বিএনপি এখন অনেকটাই লাইফ সাপোর্টে রয়েছে। থানা কমিটির সভাপতি শাহআলম রয়েছেন আত্মগোপনে। তাঁর চাপে গঠিত পকেট কমিটির সেক্রেটারী ও জেলা কমিটির সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস এখন আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা করেই রাজনীতি করছে। তবে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে সংসদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন দৌড়ে পিছিয়ে যাবার পর জেলা বিএনপির নব গঠিত কমিটির সহ-সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেই অনেকটা আত্ম গোপনে যান এই নেতা।
তবে পদ থেকে পদত্যাগ করলেও রাজনীতি থেকে পদত্যাগ করেননি বলেন জানিয়েছেন দলের অনেক নেতাই। হামলা মামলার ভয়েই অনেকটা আত্মগোপনে রয়েছেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় ১বছরেরও অধিক সময় ধরে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারাভোগ করছেন। সারাদেশের বিএনপির নেতাকর্মীরা যখন রাজপথে তখন নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানা বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজপথে ছেড়ে দিয়েছে। থানার শীর্ষ নেতারা লাপাত্তা হয়ে গেছেন অনেক আগেই। বিএনপি অধ্যুসিত এলাকা হিসেবে পরিচিত ফতুল্লা থানা বিএনপির কোন প্রতিবাদ নেই।
নির্বাচনের পূবে মনোনয়ন দৌড়ঝাপে এগিয়ে থাকার জন্য প্রায় সময় নেতাকর্মীদের নিজের বাড়িতে ভুড়িভোজ করাতেন কিন্তু দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে হতাশাগ্রস্ত শাহ আলম অনেকটাই আত্মগোপনে চলে গেছেন।
এ বিষয়ে অনেক নেতারাই অভিযোগ করে বলেন, গুরু যেমন শিষ্য তেমন। যেখানে গুরু স্বার্থন্বেষী সেখানে শিষ্যও স্বার্থন্বেষী হবে এটাই স্বাভাবিক। আজাদ বিশ্বাস আতাতের চরম সীমায় গিয়ে পৌছেছে। নিজের গদি ঠিক রাখতে দলীয় নেতাকর্মীদের রেখে সরকার দলীয় নেতাকমীদের সমোঝতায় চলছেন।