আজ শুক্রবার, ২৬শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গাজীর রাজনীতিতে মানুষের কল্যাণ


টি.আই.আরিফ:
তিনি ছিলেন গেরিলা যোদ্ধা। বঙ্গবন্ধুর ডাকে যুদ্ধ করে এ দেশ স্বাধীন করেছেন। তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী। দলনেত্রীর পরীক্ষিত সৈনিক। ওয়ান ইলেভেনের সময় নেত্রীর জন্য জেল খেটেছেন ,পুলিশের মার খেয়েছেন তার পরও তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নামে মামলা করেননি। এখনও তিনি রাজপথেই আছেন। তাঁর গায়ে দুর্নীতির ছোয়া লাগে নি। নিজের পকেটের টাকা দিয়ে তিনি এলাকার উন্নয়ন করে যাচ্ছেন। বলছি রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ,বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক,এমপির কথা। তিনি রূপগঞ্জের এমপি হওয়ার পর বদলে গেছে রূপগঞ্জ। যেখানে ফ্লাইওভার ছিলো না সেখানে তিনি ফ্লাইওভার করেছেন, যেখানে ব্রিজ ছিলো না সেখানে তিনি ব্রিজ করেছেন, যে গ্রামে রাস্তা ছিলো না সেখানে তিনি রাস্তা করেছেন। যেখানে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিলো না সেখানে তিনি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় করে দিয়েছেন। তার নেতৃত্বে রূপগঞ্জে নতুন ৩১ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় হয়েছে। রূপগঞ্জের প্রত্যেকটা স্কুল ,কলেজ,মাদ্রাসায় তিনি নতুন ভবন দিয়েছেন। তার নির্বাচনী এলাকায় চিকিৎসা খাতে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। করোনার সময় গাজী পিসিআর ল্যাব স্থাপন করে রূপগঞ্জসহ ঢাকার আশেপাশের জেলার লক্ষ লক্ষ মানুষকে বিনামূল্যে করোনা টেস্ট করেছেন। যার ফলে বহু মানুষের জীবন রক্ষা পেয়েছে। কিডনী রোগীদের জন্য রূপসীতে তিনি ডায়ালাইসিস সেন্টার করেছেন। কম খরচে সেখান থেকে প্রতি দিন ১০/১২ জন লোক কিডনী ডায়ালাইসিস করতে পারছে। গোলাম দস্তগীর গাজীর প্রচেষ্টায় আরবান হেল্থ কেয়ার ও রেড কার্ডের মাধ্যমে তারাব পৌরসভার হাজার হাজার মানুষ বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে। গর্ভবর্তী মহিলাদের কম খরচে সিজার করা হচ্ছে। তিনি জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছেন। মুড়াপাড়া কলেজ তিনি সরকারী করে দিয়েছেন। যানজট ,জলাবদ্ধতা দূর করেছেন। রূপগঞ্জবাসী এখন তার উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে। রূপগঞ্জবাসীর জন্য তিনি বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করেছেন। গত ১৯ সেপ্টেম্বর পাইপ লাইনের মাধ্যমে তারাব পৌরসভার নোয়াপাড়া এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক ,এমপি। গন্ধর্বপুর থেকে পর্যায়ক্রমে সারা রূপগঞ্জে ঘরে ঘরে বিশুদ্ধ পানি পৌছে দেওয়া হবে। রাজনীতিতেও তিনি পটু। পরপর তিনবার তিনি রূপগঞ্জের এমপি হয়েছেন। এলাকার জনগণ তার কাজের প্রশংসা করছে। কেউ কেউ তাকে রূপগঞ্জের মহাবীর বলে। নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগ সরকারের প্রথম মন্ত্রী তিনি। জেলার রাজনীতিতেও তার প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তিনি রূপগঞ্জকে আওয়ামীলীগের ঘাটিতে পরিণত করেছেন। তার প্রচেষ্টায় রূপগঞ্জের সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটিতে পদ পেয়েছে। মহিলা লীগ এবং যুবমহিলালীগ কে রূপগঞ্জে অত্যন্ত শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে তিনি গড়ে তুলেছেন। নারী সমাজ তার ভোট ব্যাংক। বিরোধী দলের লোকেরাও গাজীকে সমর্থন করেন। ক্ষমতাসীন দলের দাপটে এখানে মাঠ ছাড়া বিরোধী দল। রূপগঞ্জের প্রত্যেকটা ইউনিয়নে তার অনুগতরা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। কাঞ্চন পৌরসভায় গোলাম দস্তগীর গাজীর প্রচেষ্টায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী এই প্রথম মেয়র নির্বাচিত হয়েছে। মন্ত্রী হওয়ার পরেও তিনি রূপগঞ্জ ছেড়ে যাননি। দলমতের উর্ধ্বে উঠে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। স্থানীয় প্রশাসনের উপর তার হস্তক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়নি। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রশাসনের কর্মকর্তারা গোলাম দস্তগীর গাজীর প্রশংসা করছে। ঢাকায় আওয়ামীলীগের যেকোন সমাবেশ সফল করতে রূপগঞ্জ থেকে গাজীর পরিবার ভূমিকা রাখছে। গত ১৫ বছরে গোলাম দস্তগীর গাজী রূপগঞ্জে যত উন্নয়ন করেছেন অতীতে কোন এমপি এতো উন্নয়ন করেনি। অনেক শিক্ষক তার প্রচেষ্টায় এখন বেতন পাচ্ছে। গতকাল তিনি রিক্সা চালকদের বিনামূল্যে নতুন রিক্সা দিয়েছেন। ভিক্ষুকদের বিনামূল্যে ছাগল দিয়েছেন। বেকার যুবকদের তিনি কর্মসংস্থান করেছেন। উপকার ভোগীরা এখন তার প্রশংসা করছে।
গতকাল রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি , বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বলেন, আমাদের উন্নয়নের সুফল বিরোধী দলও ভোগ করছে। তারাব পৌরসভার মানুষ বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছে। এটা আমাদের সরকারের সফলতা। ফাঁকি দেওয়ার রাজনীতি আমি করি না। আমি মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করি। রূপগঞ্জের জনগণ আমার শক্তি। আমি আমৃত্যু রূপগঞ্জবাসীর সেবা করে যাবো। কারও চেহারা দেখে নয় সবাই উন্নয়ন দেখে ভোট দেবেন।

পাবই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শরীফ ভুইয়া সংবাদচর্চাকে বলেন, দীর্ঘদিন আমরা বেতন পাই নাই গাজী স্যার ২০১৩ সালে আমাদের বিদ্যালয়টি সরকারীকরণ করে দিয়েছে।তিনি রূপগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষাকে অনেক এগিয়ে নিয়ে গেছেন। আমরা কোনদিন কল্পনা করি নাই আমাদের স্কুল সরকারী হবে। তিনি রূপগঞ্জে ৩১ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারী করে দিয়েছেন। আমরা গোলাম দস্তগীর গাজী স্যারের কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি জমি দিয়ে অর্থ দিয়ে অনেক স্কুলে সহযোগিতা করেছেন।
রূপগঞ্জ উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও মঙ্গলখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুল রহিম সংবাদচর্চাকে বলেন, আগে আমাদের স্কুলে টিনের ঘর ছিলো। ভাঙ্গা টিনদিয়ে পানি পড়েছে, ছেলে মেয়েরা পড়তে পারে নাই। গাজী স্যার টিনের ঘরকে বিল্ডিংয়ে রূপান্ত করেছে। নিজের টাকা দিয়ে স্কুলের দেওয়াল , শহীদ মিনার ও বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল নির্মাণ করেছেন মাননীয় বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী মহোদয়। তার নেতৃত্বে রূপগঞ্জে শিক্ষাখাতে বিপ্লব ঘটেছে।

রূপগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান তুহিন বলেন, গোলাম দস্তগীর গাজীর কাছে প্রত্যেকটা দিন নির্বাচনের দিন। তিনি ১৫ বছর যাবত রূপগঞ্জবাসীকে সেবা দিয়েছেন । এখন তাকে আমাদের দেওয়ার পালা। রূপগঞ্জের আনাচে কানাচে গোলাম দস্তগীর গাজী সাহেব উন্নয়ন করেছেন। রূপগঞ্জে নেতা উৎপাদনের কারখানা গোলাম দস্তগীর গাজী সাহেব। আমি কামরুল হাসান তুহিন যুবলীগের সভাপতি , মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক,ইমন হাসান খোকন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি,আলমগীর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক, সজিব আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, মাছুম আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক। এরকম বহু নেতা তৈরী করেছেন তিনি। প্রত্যেকটা সংগঠনের সভাপতি ,সেক্রেটারী , ইউপি চেয়ারম্যান,মেম্বারবৃন্দ গাজী সাহেবের সাথে আছে। তাহলে নাই কে? আমরা সবাই গাজী সাহেবের অনুসারী। এটা রূপগঞ্জ, এখানে সমস্যা থাকবেই। গোলাম দস্তগীর গাজীকে চতুর্থবারের মতো এমপি নির্বাচিত করবো।

মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ আলমাছ বলেন, মুড়াপাড়ার ৯টি ওয়ার্ড থেকে গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবো। কোন অপশক্তি মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়কে ঠেকাতে পারবে না।

রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছালাউদ্দিন ভুঁইয়া বলেন, গাজী সাহেবের নেতৃত্বে রূপগঞ্জে বহু উন্নয়ন হয়েছে। আগামী নির্বাচনে রূপগঞ্জে গাজী সাহেবের বিকল্প নাই।

রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মোল্লা বলেন, গাজী সাহেবের নেতৃত্বে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ। আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কা গাজী সাহেবের আছে এবং থাকবে।
রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা বলেন, গত ১৪ বছর কারও সাথে কোনদিন বেয়াদবি করি নাই। এমপি,মন্ত্রীদের ছেলের মতো আচরণ আমি দেখাইনি। সবার সেবা করতে এসেছি।