সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
পাবনায় প্রকাশ্যে দিবালোকে দুজনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জেলার আতাইকুলা থানার ভুলবাড়িয়া ইউনিয়নের তেবাড়িয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। প্রকাশ্যে দুজনকে হত্যার পর গুলি ও বোমা ফাটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে বীরদর্পে চলে যায় হত্যাকারীরা। নিহতরা হলেন তেবাড়িয়া গ্রামের দবির উদ্দিনের ছেলে সাবেক সেনাসদস্য আবদুল গফুর (৫৫) ও গয়েশবাড়ী গ্রামের ময়েজ আলীর ছেলে ব্যবসায়ী ইদ্রিস আলী (৩৫)।
পাবনা ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক তথ্যপ্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ সংবাদচর্চাকে জানান, আবদুল গফুর বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একনিষ্ঠ সৈনিক তৃণমূল আ.লীগের জনপ্রিয় কর্মী। সে ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে যুদ্ধাপরাধী নিজামীর বিরুদ্ধে আ.লীগের পক্ষে নির্বাচন করেছে। গফুর হত্যা কারীদের বিচারের আওতায় এনে দ্রুত কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতেই হবে।
আ.লীগ নেতা অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিনীত ভাবে অনুরোধ করব বেড়া সাথিয়ার তৃণমূল আ.লীগের নেতাকর্মীরা প্রতিদিন মিথ্যা মামলা সহ নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। আপনি একটু বেড়া সাথিয়ার দিকে নজর দেন। তৃণমূলকে রক্ষা করেন। গফুর হত্যাকারীদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করবেন।
স্থানীয়রা জানান গফুর হত্যায় রেজাউল নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রেজাউল মাদক ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে বলে তারা জানান।পাবনায় প্রকাশ্যে দিবালোকে দুজনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার পর ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
আ.লীগ নেতা আবদুল গফুর নিহত হওয়ায় গভীর শোক প্রকাশ করছে অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ। তিনি নিহতের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।তিনি আবদুল গফুরের আন্তার শান্তি কামনা করেন।