সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকাকে ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ২০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডও করা হয়েছে।
বুধবার (২৮ নভেম্বর) ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ মিজানুর রহমান খান এই রায় দেন।
খোকাসহ চার জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা দুর্নীতির একটি মামলায় এই রায় দেওয়া হলো।
বনানী সুপার মার্কেটের কার পার্কিং ইজারা সংক্রান্ত দুর্নীতি নিয়ে দায়ের করা এই মামলার অন্য তিন আসামি হলেন— বনানীতে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ইউনিক কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল বাতেন নকী, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান আজাদ ও গুডলার্ক কার পার্কিংয়ের ম্যানেজার এইচ এম তারেক আতিক। এদের তিনজনকেই ১০ বছর কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। মোট ১১ জনের সাক্ষ্য শেষে পেনাল কোড এর ৪০৯ ধারায় এই রায় দেওয়া হলো।
মামলার প্রধান আসামি সাদেক হোসেন খোকা পলাতক। অন্য তিন আসামি জামিনে ছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী রায় ঘোষণার পর জামিন বাতিল হয়ে যায় এবং তাদের পলাতক দেখানো হয়।
আদালতে উপস্থিত ছিলেন না সাদেক হোসেন খোকার পক্ষে কোনো আইনজীবী। অন্য তিন আসামির আইনজীবী মো. আকবর হোসেন সারাবাংলাকে জানান, রায়ে তিনি সংক্ষুব্ধ। মামলায় সময় চেয়ে আবেদন করা হলেও তাদালত তা নাকচ করেছেন। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন তারা।
রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন দুদকের প্রধান কৌশলী মোশাররফ হোসেন কাজল।
২০১২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শাহবাগ থানায় দুদকের সহকারী পরিচালক মো. মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে থেকে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ডিসিসির বনানী সুপার মার্কেট কাম হাউজিং কমপ্লেক্সর বেজমেন্টের কার পার্কিং ইজারার জন্য ২০০৩ সালের দরপত্র আহ্বান করেন। চারটি দরপত্রের মধ্যে মিজানুর রহমান নামে জনৈক ব্যক্তি বার্ষিক এক লাখ ১০ হাজার টাকায় সর্বোচ্চ দরদাতা নির্বাচিত হন। কিন্তু পরবর্তীতে সাদেক হোসেন খোকা অপরাপর আসামিদের সঙ্গে পরস্পর যোগসাজশে ইজারার কার্যক্রম স্থগিত করেন। এর মাধ্যমে ফেব্রুয়ারি ২০০৩ সাল হতে ফেব্রুয়ারি ২০১১ সাল পর্যন্ত ৩০ লাখ ৮২ হাজার ৩৯৯ টাকা ঢাকা সিটি করপোরেশনের ক্ষতি হয়েছে।
বর্তমানে বিদেশে অবস্থানকারী সাদেক হোসেন খোকার বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. কামরুল হোসেন মোল্লা ২০১৫ সালের ২৯ নভেম্বরে চার্জ গঠন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে পাঠানো হয়।