সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগের নির্বাচনী কেন্দ্র পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শনিবার ২৮ জুলাই বিকেলে তারাবতে নির্বাচনী পরিচালনা কমিটি গঠন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য রণাঙ্গণের খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা বিশিষ্ট শিল্পপতি গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক।
বিএনপি জামায়াতের শাসন আমলে আ.লীগ নেতাকর্মীদের পুলিশ দিয়ে যেভাবে নির্যাতন করা হত তা উল্লেখ করে গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন,সে দিনের নির্যাতনের কথা ভুলি নাই। খালেদার পুলিশ বাহিনী ছিলো দানবীয়। আ.লীগ সহ মহাজোটের নেতাকমীদের উপর চালাত অমানবিক নিযাতন। তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিন লন্ডনে থাকায় আমাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পুলিশ। আমাকে ঝুলিয়ে পুলিশ বেত দিয়ে পিটিয়ে অজ্ঞান করে ফেলে। পুলিশ আমাকে বলে আপনি স্বীকার করেন শেখ হাসিনাকে ৫কোটি টাকা দিয়ে মনোনয়ন নিয়েছেন।আমি পুলিশকে বলি আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে কোন টাকা দেই নাই। আমাকে খেতে দেওয়া হত খুবই বাজে খাবার।আমাকে অন্ধকার ঘরের মধ্যে রাখা হত। ওরা আমাকে গুম করে দিতে চেয়েছিলো কিন্তু পারে নাই।সে দিন আমার স্ত্রী হাইকোটে একটি রিট করেছিলো সেই রিটের মাধ্যমে বর্তমান এটর্নী জেনারেল মাহাবুব আলম বলেছিনে যে গাজী সাহেব একজন খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা তাদের কারণে আজকে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশে বিচারক হয়েছি গাজী সাহেবকে আদালতে হাজির করতে হবে হাজির না করা হলে আমরা জজরা বিচার কাজ ছেড়ে দেব। হঠাৎ একদিন রাতে পুলিশ এসে বলে আগামী কাল আপনাকে ছেড়ে দেওয়া হবে তবে শর্ত আছে বাসায় গিয়ে আপনি মুখ খুলতে পারবেন না যদি খোলে জানেন ত আমাদের হাত উপরে আছে আপনাকে আবার গ্রেফতার করা হবে।
গোলাম দস্তগীর গাজী আরো বলেন, ২০০৫ সালে কাচপুর ব্রিজে সামনে ও তারাবতে অবস্থান কমসুচি পালন করি। পুলিশ আমাদের লাঠি চার্জ করেও হটাতে পারে নি।পুলিশ আমাদের বলেছিলো আপনারা স্থান ত্যাগ না করলে গুলি করতে বাধ্য হবে পুলিশ গুলি চালায় আমাদের উপর আমার পায়ে গুলি লাগে তার পরও আমাকে হটাতে পারে নি পুলিশ বাধ্য হয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের বলেছিলো আপনারা গাজী সাহেবকে হাসপাতালে নিয়ে যান।আমাকে ২৭ দিন জেলে অমানবিক নিয়াতন করেছিলো। আমি আন্দোলন দেখে ভয় পাই না।বঙ্গবন্ধুর ডাকে যুদ্ধ করেছি ।১/১১ সময় আ.লীগের অনেকেই নেত্রীর সাথে বেইমানী করছে তৃণমূল সেদিন নেত্রীর পক্ষে ছিলো ।
গোলাম দস্তগীর গাজী আ.লীগ নেতাকমীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিএনপি জামায়াতের নির্যাতনের কথা ভুলে গেলে চলবে না। আগামী নির্বাচনে নৌকাকে বিজয় করতে হলে কোন প্রকার গ্রুপিং চলবে না ।সবাইকে এক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার পক্ষে কাজ করতে হবে। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরতে হবে।
রূপগঞ্জ বাসির উদ্দেশ্যে গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, রূপগঞ্জে সর্বকালের সেরা উন্নয়ন হয়েছে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে সবাইকে আবার নৌকায় ভোট দিতে হবে। জনগণ ভোট দিলে আমরা আছি জনগণ ভোট না দিলে আমরা নাই।
তারাব পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন ভূইয়ার সভাপতিত্বে নুর আলম ভুইয়ার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ইঞ্জি.শেখ সাইফুল ইসলাম, তারাব পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোল্লা, সাপ্তাহিক রূপকন্ঠের সম্পাদক নজরুল ইসলাম চৌধুরী, কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মফিজ,আ.লীগ নেতা আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান হাবিব, ৮ নং ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম,সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ মোল্লা, শ্রমিক নেতা মোজাম্মেল হক, মোহাম্মদ আলী,তারাব পৌর যুবমহিলা লীগের সভাপতি পারুল আক্তার।