আজ বুধবার, ২০শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

খানপুর হাসপাতালে অস্ত্র সহ নিরাপত্তা প্রহরী প্রয়োজন

সংবাদচর্চা রিপোর্টঃ
নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা খানপুর হাসপাতালে মনোরম পরিবেশ যে কাউকেই আকৃষ্ট করে। হাসপাতালের প্রশান্তির বাতাস নিতে সকালে ও বিকালে হাসপাতালের চত্তরে গাছের নিচে সময় কাটাতে আসেন নগরীর বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। নগরীর সাধারণ আট দশ জনের মতো সেই সুযোগটি গ্রহণ করে থাকে অত্র এলাকার মাদক সেবীরা। খোজ নিয়ে জানা যায় নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতালে দিন দুপুরে মাদকসেবীদের আড্ডা চোখে পড়ার মত। তবে এই ভঙ্গুর অবস্থা থাকলেও এই বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খুব বেশি হস্তক্ষেপ করতে দেখা যায় না।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, অত্র হাসপাতালে যে সকল ব্যক্তিরা ভর দুপুরে আড্ডায় মাতোয়ারা থাকে তারা সকলেই খানপুর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা। এ সকল মাদকসেবীদের কাছে অস্ত্রও থাকতে পারে বলে জানা যায়।

অত্র হাসপাতালের কর্মরত বিভিন্ন ডাক্তারদের সাথে কথা বলে জানা যায় খানপুর হাসপাতালের মনোরম পরিবেশের কারনে দর্শনার্থীদের ভির লেগেই থাকে। শান্ত পরিবেশের কারনে দূর দুরান্ত থেকে অনেক মানুষ ছুটির দিনগুলোতে ভীর জমায়। তবে দর্শনার্থীদের পাশাপাশি অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও এখানে এসে সময় অতিবাহিত করে যায় বলে জানা যায়। তবে সেই সকল শিক্ষার্থীরা স্কুল কলেজ ফাঁকি দিয়ে এখানে এসে আড্ডায় মজে থাকে কিনা জানতে চাইলা তারা এই বিষয়ে তেমন কিছু বলতে পারে নাই।

গত ৯ মে অত্র হাসপাতালে চত্তরে মাদক সেবনের বিষয় একটির সংবাদ প্রকাশ পায়। সেই সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালের মাদক সেবনকারীদের আড্ডা তৈরী করার দৃশ্য। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের পেছনে অ্যাম্বুলেন্স রাখার স্থানে তৈরী করেছে নিজেদের আড্ডা স্থান। হাসপাতালে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স ছাড়াও একাধিক প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স সেকানে রেখে দেওয়া হয়। অ্যাম্বলেন্সের ড্রাইভাররা রোগী পেলে সেটা নিয়ে যায়। না পেলে এখানেই শুয়ে বসে তাদের সময় কাটায় এরা বেশির ভাগ ড্রাইভারই এখানে বসে মাদক সেবন করে। এছাড়া এলাকার কিছু স্থানীয় ছেলেদের অত্র হাসপাতাল চত্তরে মাদক সেবন করতে দেখা যায়।

এই বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালের নবাগত তত্বাবধায়ক আবু জাহের দৈনিক সংবাদচর্চা পত্রিকার সাথে আলাপ কালে জানান, আমি অত্র হাসপাতালের শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন ওয়ার্ড সহ হাসপাতালের আশপাশের এলাকাগুলো পরিদর্শন করে থাকি। অনেক সময় অনেক অসঙ্গিত চোখে পরে। অত্র হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা প্রহরার প্রয়োজন। কেননা অত্র হাসপাতালটি উন্মুক্ত ও শান্ত পরিবেশ থাকায় অনেকেই এসে এখানে সময় পার করেন।

হাসপাতালের আশপাশের বাসিন্দাদের মতে অস্ত্র সহ নিরাপত্তা প্রহরী থাকলে হয়তো দর্শনার্থীদের মধ্য থেকে যে সকল ব্যক্তিরা হাসপাতালের পরিবশে নষ্ট করছে তাদের সনাক্ত করে ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে। সার্বক্ষনিক নিরাপত্ত প্রহরী না থাকায় মাদকসেবীরা নিরাপদে মাদক সেবন করতে পারে এই হাসপাতালের আশপাশে। এছাড়া নিরাপত্তা জোরদার করার দাবি জানিয়েছে নগর বাসি।