আজ বৃহস্পতিবার, ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের শীতবস্ত্র দিলো “সংযোগ”

সংবাদচর্চা রিপোর্টঃ

বান্দরবান জেলার বালিপাড়া, কমলাবাগান ও তিন্দুতে খুমি সম্প্রদায়ের মানুষের হাতে শীতবস্ত্র, স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ও এলাকার কিশোরীদের জন্য স্যানিটারি ন্যাপকিন পৌঁছে দিয়েছে ফেসবুকভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সংযোগ : কানেক্টিং পিপল’। সংযোগসহ পিরিয়ড বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরির প্লাটফর্ম ‘জ্যোতি’ ও লিন্ডেক্স নামের ইউরোপিয়ান বিখ্যাত ফ্যাশন ব্রান্ডের উদ্যোগে সোমবার এ কর্মসূচ অনুষ্ঠিত হয়। 

সংযোগ কানেক্টিং পিপলের পক্ষ থেকে কাজটি তদারকি করেন প্রকৌশলী হাসিনুর রেজা চঞ্চল ও সমন্বয়কারী ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ মাসরুর সালেকিন। শীতবস্ত্র ও স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণে উপস্থিত ছিলেন থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম।

সংযোগের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘পাহাড়ের দুর্গম এলাকায় এরকম শীতবস্ত্র ও স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণের উদ্যোগ এবারই প্রথম। এতে আদিবাসীরা যেমন শীত থেকে রক্ষা পাবে, তেমনি নারীস্বাস্থ্য সচেতনতাও বাড়বে। ’

শীতবস্ত্র এবং জীবনরক্ষাকারী সামগ্রী বিতরণে উপস্থিত সংযোগ প্রতিনিধি প্রকৌশলী চঞ্চল বলেন, দুর্গম এলাকার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক বিষয়ে কাজ করা সংযোগের উদ্দেশ্য। তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠান লিন্ডেক্স ও জ্যোতির সহায়তায় শীতবস্ত্র ও ন্যাপকিন পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। শুধু থানচি নয়, আলীকদম এবং বিলাইছড়িতেও সংযোগ শীতবস্ত্র, স্যানিটারি ন্যাপকিন এবং অক্সিমিটার বিতরণ করবে। তিনি সার্বিক বিতরণ কার্যক্রমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যরাও সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। 

শীতার্ত মানুষের হাতে শীতবস্ত্র ও কম্বল তুলে দেওয়া প্রসঙ্গে দায়রা জজ মাসরুর সালেকিন বলেন, সংযোগ সারা দেশে এ পর্যন্ত পাঁচ হাজার পিস কম্বল বিতরণ করেছে। তাদের কাজে আমরাও জড়িত থাকতে পেরে আনন্দিত। দুর্যোগে সরকারের পাশাপাশি সবাই এগিয়ে এলেই দুর্যোগ মোকাবিলা সহজ হয়ে ওঠে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

চলমান শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচিতে এ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রায় পাঁচ হাজার কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে সংগঠনটি। 

উল্লেখ্য, করোনাকালীন সময়ে দেশের ১০০টির মত হাসপাতালে প্রায় ৪ হাজার মেডিকেল গাউন, ১১ হাজার মাস্ক ও ২ হাজার বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়েছে। ডাক্তারদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের জন্য মাস্ক ও সেনিটাইজার পৌঁছে দেয়ার কাজ করেছে সংগঠনটি। এছাড়া বেদে থেকে শুরু করে মৃৎশিল্পী, পাটকলের শ্রমিক, আদিবাসী, স্কুল ও মাদ্রাসার ননএমপিও ভুক্ত শিক্ষকসহ প্রায় তিন হাজার পরিবারকে নগদ অর্থ ও এক মাসের খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়ার কাজ করছে সংযোগ। নোয়াখালীতে আইসিইউ প্রতিষ্ঠা, দেশের একাধিক স্থানে হাই ফ্লো ন্যাসাল ক্যানোলা স্থাপনের কাজও করছি আমরা। ঢাকায় ১০০ জনের ওপর করোনা রোগীকে অক্সিজেন সরবরাহ, শতাধিক ব্যক্তির জন্য ব্লাড ও প্লাজমা ডোনারের ব্যবস্থা করে দেওয়া, ১০ জনের ওপর মানুষকে স্বাবলম্বী হতে সহায়তা, ২০ জনের চাকরির ব্যবস্থা করা ও ২০ জনের বেশি ব্যক্তিকে চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে সংযোগ।