আজ বৃহস্পতিবার, ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ক্ষমা চাইলেন সাকিব

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আবারও বিতর্কে সাকিব আল হাসান। চলতি ডিপিএলে শুক্রবার ১১ জুন দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও আবাহনী লিমিটেডের মধ্যে ঘটেছে অবিশ্বাস্য এক ঘটনা। মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পেরে স্টাম্প ভেঙে ফেলেন সাকিব। ঘটনা পঞ্চম ওভারের। শেষ বলটা দারুণভাবে ভেতরে ঢুকিয়েছিলেন সাকিব। ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম হন পরাস্ত। এলবিডাব্লিউর জোরালো আবেদন নাকচ করে দেন আম্পায়ার। এরপর এক মুহূর্ত অপেক্ষা না করে ক্ষেপে গিয়ে লাথি মেরেই স্টাম্প ভেঙে ফেলেন সাকিব! পরের ওভার শেষে ফের স্টাম্প তুলে আছাড়ও মারেন!
সাকিবের এমন আচরণে মাঠের উপস্থিত সবাই হতভম্ব হয়ে পড়েন। মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং পেয়ে ১৪৫ রান করে মোহামেডান। জবাব দিতে নেমে ব্যাট করতে গিয়ে শুভাগত হোমের আঘাতে ৯ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে আবাহনী। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বল করতে আসেন সাকিব। তার দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বলে ছক্কা ও চার মারেন মুশফিকুর রহিম। পরের দুই বল যায় ডট। শেষ বলে শুরু হয় গণ্ডগোল।

এলবিডাব্লিউয়ের আবেদনে সাড়া না দেওয়ায় আম্পায়ারকে শাসাতেও দেখা গেছে সাকিবকে। এরপরের ওভারেই বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ১৪৬ রান তাড়ায় ৩ উইকেটে ৩১ রান করেছে আবাহনী। কিন্তু আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচের উত্তেজনা ছাপিয়ে আলোচনায় সাকিব আল হাসানের এই কাণ্ড!

এদিকে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে আম্পায়ারের সঙ্গে বাজে আচরণ, আবাহনী কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের সঙ্গে ঝগড়া- সব মিলিয়ে ফের দেশের ক্রিকেটে আলোচনায় এসেছেন সাকিব আল হাসান। শুক্রবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) ম্যাচে এমন ঘটনা ঘটেছে। এরপর আবাহনীর ড্রেসিংরুমে গিয়ে সুজনের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন মোহামেডান অধিনায়ক সাকিব। এরপর তিনি সোশ্যাল সাইটেও ভক্তদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে সাকিব লিখেছেন, ‘প্রিয় ভক্তবৃন্দ, এভাবে মেজাজ হারিয়ে একটা ম্যাচ নষ্ট করার জন্য এবং যারা ঘরে বসে খেলা দেখছিলেন তাদের কষ্ট দেওয়ার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমার মতো একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের এমন আচরণ করা কখনই উচিত নয়। আমি আমার দল, ম্যানেজম্যান্ট, টুর্নামেন্ট অফিসিয়ালস এবং সাংগঠনিক কমিটির কাছে এই মানবিক ভুলের জন্য ক্ষমা চাইছি। আশা করিছি, ভবিষ্যতে কখনই আর এমন কাজ করব না। সবাইকে ধন্যবাদ এবং ভালোবাসা।’