আজ মঙ্গলবার, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কোটি টাকা খরচ করে খেয়ে-দেয়ে নাচে গানে ক্লান্ত শাহজাহান-রফিক, যান নি প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধণা অনুষ্ঠানে

কোটি টাকা

কোটি টাকা
সংবাদচর্চা রিপোর্ট: গত ১৯ শে জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবর্ধণা অনুষ্ঠান সফল করার লক্ষে কোটি টাকা ব্যয়ে প্রস্তুতি সভা করে রূপগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান ভূইয়া ও কায়েত পাড়া ইউনিয়ন পরিষদের বিনা ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান ভূমিদস্যু আন্ডা রফিক।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধণার দিন শাহজাহান ভূইয়া ও রফিকের উল্টো চিত্র দেখা গেছে।জানা গেছে প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধণা অনুষ্ঠানের দিন শাহজাহান ভূইয়া ও আন্ডা রফিক সংবর্ধণা অনুষ্ঠানে যান নি।
জনমনে প্রশ্ন ওঠেছে তাহল শাহজাহান চেয়ারম্যান ও রফিক কোথায় ছিলো? তাদের কোটি টাকা খরচের নেপথ্যে কি ?
রূপগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের নেতারা জানান, শাহজাহান ভূইয়া প্র আ.লীগের কর্মী নয়, ওনি নিজের কর্মী। উনি সুবিধা ভোগী সু সময়ের মাছি। ভূমিদস্যুদের ইন্ধনে তিনি রূপগঞ্জ উপজেলা আ.লীগকে গ্রুপিং করার চেষ্টা করছে। আজকে প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধণা না গিয়ে শাহজাহান চেয়ারম্যান ও রফিকের আসল চরিত্র প্রকাশ পেয়েছে।

৫০ টি গরু ও খাসি মেরে সংবর্ধণা অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি সভা করায় তুমুল সমালোচনার মুখে পড়ছে শাহজাহান ভূইয়া ও রফিক।জানা গেছে, শাহজাহান চেয়ারম্যান ও রফিক খেয়ে-দেয়ে নাচে গানে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে।  এর আগেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন পূর্বাচল উপশহর উদ্বোধন করতে এসেছিলেন তখনও শাহজাহান ভুইয়া অনুপস্থিত ছিলেন।

রূপগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সহসভাপতি ইঞ্জি শেখ সাইফুল ইসলাম বলেন, রফিক এবং শাহজাহান যে উদ্দেশ্য নিয়ে যে প্রস্তুতি সভা করেছে তা সফল হয় নি। বরং এমপি প্রার্থী হওয়াকে কেন্দ্র করে তাদের নিজেদের মধ্যে কোন্দলের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের প্রস্তুতি সভা প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধণা অনুষ্ঠান সফল করার জন্য নয়। অনুষ্ঠানটি ছিলো প্রভাবশালী ভূমিদস্যুদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য। শাহজাহান রফিকের আ.লীগের বান্যারে অনুষ্ঠানে যে কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে তা রূপগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের ফান্ডে নেই। তাহলে এই টাকার উৎস কোথায় ? এ টাকার নেপথ্যে কারা রয়েছে। নিজেদের কোন্দলের কারণে শাহজাহান সংবর্ধণা অনুষ্ঠানে যান নি।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ভ’ইয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে, তিনি মুঠোফোনটি রিসিভ করেন নি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছে, আওয়ামীলীগের মধ্যে শেখ হাসিনার চেয়ে বড় কোন নেতা নেই। সেই সংবর্ধণা অনুষ্ঠানে শাহজাহান রফিকের না যাওয়ার মধ্যে রহস্য রয়েছে। তাছাড়া সে দিনের প্রস্তুতি সভায় স্থানীয় সাংসদের বদনাম করছে।নির্বাচনের আগে শাহজাহান রফিকের সংবর্ধণায় যোগ না দিয়ে নিজেদের পায়ে নিজেরাই কুড়াল মারছে।