সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
ঢাকা বিভাগের বিশেষ সাংগঠনিক সভায় জেলা ও মহানগরের নেতারা অভিযোগ তুলেন কমিটি গঠনে সমন্বয় না করে স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সদস্যদের দলে স্থান দেয়া হয়েছে গত শনিবার রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের জেলা ও মহা নগরের নেতারা এই অভিযোগ তুলেন। ঢাকা বিভাগের বিশেষ সাংগঠনিক সভার দায়িত্বে ছিলেন ডাঃ দিপু মনি এসময় প্রধান অতিথি ছিলেন সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সভায় উত্থাপিত প্রস্তাব সমূহ আওয়ামী লীগের আগামী কার্য নিবার্হী কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হবে। এসময় নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সদস্যদের দলে স্থান রয়েছে বলে মন্তব্য করে যা বিভিন্ন গন মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি গতকাল গতকাল দৈনিক সংবাদচর্চা জানান, যুব মহিলা লীগে স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সদস্য রয়েছে। এছাড়া কৃষক লীগেরও রয়েছে। কাদের উদ্দেশ্য করে বলছি তারা ভাল করে জানেন। নিশ্চিত হয়ে বলছি স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সদস্যরা আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনে রয়েছে।
এছাড়া নারায়ণগঞ্জে যুব মহিলা লীগ ও কৃষকলীগ নিয়ে জটিলতা রয়েছে। যারা কোন দিন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল না সেই স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সদস্যদের এখানে স্থান দেয়া হয়। আমরা এ বিষয়ে কেন্দ্রে অবহিত করেও কোন উল্টর পাইনি। এয়াড়া সহযোগি সংগঠনের কাছ থেকে কোন ধরনের সহযোগিতা পান না দাবি করে আনোয়ার আরো বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগঠনকে আরো গতি সঞ্চার করতে চাই।
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি-সম্পাদক। কিন্তু সে দুটি কমিটি বিলুপ্ত না করেই বা কোনো কারণ ব্যতিরেকেই কমিটির সবাইকে বাদ দিয়ে নতুন দুটি কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
গত ২০১৭ সালের ১৭ মে যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সম্পাদক নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর যুব মহিলা লীগের কমিটির অনুমোদন দেন। ৫১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটিতে ইয়াসমিন চৌধুরী লিন্ডাকে আহ্বায়ক, সাবিরা সুলতানা , নিলুফার ইয়াসমিন, ফারিয়া আক্তার হেলেনা ও হাসিনা বেগমকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়।
অপরদিকে মহানগর কমিটিতে নুরুন্নাহার সন্ধ্যাকে আহ্বায়ক, সালমা আক্তার, শারমীন আক্তার ডলি, মায়ানূর মায়া, চায়না আক্তার ও রুম্পা আক্তারকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ৪৯ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন করা হয়।
এদিকে একই বছরের ৩০ জুন হঠাৎ করেই জেলা ও মহানগর যুব মহিলা লীগের নতুন কমিটি ঘোষণা দেন নাজমা আক্তার ও অপু উকিল। নতুন জেলা কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয় জেলা পরিষদের সদস্য সাদিয়া আফরিন ও যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয় শারমিন আক্তার মেঘলা ও আসমা আক্তারকে। মহানগর কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয় অ্যাডভোকেট সুইটি ইয়াসমিন ও যুগ্ম আহ্বায়ক মুনিরা সুলতানাকে।
এছাড়া জানা যায়,২০১৭ সালের ৩ জুলাই জেলা কৃষকলীগের পূর্ণাঙ্গ এবং মহানগর আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেন কেন্দ্রীয় কমিটি। এই কমিটির মধ্যে জেলা কৃষলীগের সভাপতি করা হয় সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক করা হয় বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম চেঙ্গিসকে। অপরদিকে মহানগরের সভাপতি আরমান হোসেন জুয়েল এবং সাধারণ সম্পাদক করা জিল্লুর রহমান লিটনকে ।
এদিকে স্বাধীনতা বিরোধী আওয়ামীলীগের সহযোগি সংগঠনে স্থান পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন আ.লীগের হাই কমান্ড। অচিরেই জেলা ও মহানগর কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানা গেছে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য : কৃষকলীগ ও যুব মহিলা লীগে স্বাধীনতা বিরোধী পরিবার! শিরোনামে দৈনিক সংবাদচর্চার প্রিন্ট সংস্করণে প্রকাশিত নিউজটিতে কয়েকটি স্থানে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এ ও র ফেটে গেছে। যার কারণে কিছু শব্দের উচ্চারণ বিকৃত হয়েছে তার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।