আজ বুধবার, ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কার ঘরে সরকারি মাল!

আ.শুভ
সরকার জেলার প্রশাসনের মাধ্যমে ত্রাণ দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন। নারায়ণগঞ্জ জেলাপ্রশাসন ৫ টি উপজেলার চেয়ারম্যান, মেম্বার, পৌরসভা ও সিটি এলাকার কাউন্সিলদের মাধ্যমে দিনমজুর ও সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী উপযুক্ত ব্যক্তিকে ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছেন। অনেকেই আবার ত্রাণ না দিয়ে ঘরে ও গোডাউনে মজুত করে রাখছেন। তবে এ বিষয়ে নজর রাখছেন গোয়েন্দারা। কার ঘরে, কোন গোডাউনে ত্রাণ সামগ্রী মালামাল মজুত করে রেখেছে সেসব বিষয়ে খোঁজ নিতে মাঠে রয়েছে তারা।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে বন্দরের একটি বন্ধ পোশাক কারখানার গুদামে মজুত করে রাখা স্থানীয় যুবলীগ নেতার ১ হাজার ২০০ বস্তা চাল জব্দ করেছে পুলিশ। ওই চাল চুরির ঘটনায় চাঁদপুর থানায় মামলা রয়েছে। মদনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ ভূঁইয়া ওই চালের মালিক বলে দাবি করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, ত্রাণ দেয়ার জন্য এ চাল কিনেছেন। তবে পরে জানা গেলো, চাঁদপুর থেকে এ চাল চুরি হয়েছে। এরপর থেকে লাপাত্তা ওই যুবলীগ নেতা। এর আগে সোনারগাঁয়ে সরকারি ত্রাণের চাল নিয়ে অনিয়ম করায় পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য কবির হোসেন কে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়।
এ দু’টি ঘটনার পর প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে। সূত্র মতে, গোয়েন্দাদের একাধিক টিম এ নিয়ে কাজ শুরু করেছে। কোন জনপ্রতিনিধি কতটুকু ত্রাণ পেলো, কতটা দান করলো সেদিকে নজর রাখছে তারা। পাশাপাশি কোথাও ত্রাণ মজুদ রাখা হয়েছে কি-না সে বিষয়েও খোঁজ নিচ্ছে গোয়েন্দারা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) নুরে আলম জানান, গোয়েন্দা নগরদারি করার মাধ্যমে খোঁজ নেয়া হচ্ছে কার বা কাদের ঘরে গোডাউনে সরকারি মাল মজুত করে রাখা হয়েছে। কেউ যদি অনিয়মের মাধ্যমে চালসজ সরকারি ত্রান মজুত করে রাখে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা।