সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারী পর্যন্ত বেশ কয়েকটি অভিযানে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেল লাইনের পাশের অবৈধ দখলকৃত জমি দখলমুক্ত করেছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল। এতে প্রায় ৩-৪ হাজার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছিল। তবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাব ও সীমানাপ্রাচীর না থাকায় এবং চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে এসব জমি পুনরায় দখল হয়ে যাচ্ছে। আবারও রেলের দুই পাশ দখল গড়ে উঠেছে অবৈধ ফুটপাত ও কাচাঁ বাজার।
রেল লাইনের দুই পাশ দখল করে গড়ে উঠা এসব দোকান ও বাজারের কারণে পথচারীদের চলাচলে মারাত্মক দূর্ভোগের সৃষ্টি হচ্ছে।
স্থানীয়রা বলেন, করোনা পরিস্থিতির পূর্বে ট্রেন চলাচলের কারণে হতাহতের ঘটনার কারণে ভয়ে এসব অবৈধ দখলদাররা কিছু জায়গা খালি রেখে দোকানদারি করতো। কিন্তু বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারণে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় এ রুটটি এখন অবৈধ দখলদারদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। তারা বর্তমানে রেললাইন ছাড়া এক ইঞ্চি জায়গাও ছাড় দিতে নারাজ। যদি পারতো তাহলে রেললাইনের উপরেই তারা দোকান বসাতো।
জানা যায়, ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারী মাস পর্যন্ত ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটের তিন একর জায়গা দখলমুক্ত করে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের ভূ-সম্পত্তি বিভাগ। সেখানে গড়ে ওঠা কয়েকটি বস্তি ও কয়েক হাজার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। করোনা ভাইরাসের কারণে অভিযান ও তদারকি বন্ধ থাকায় সেখানে ফের গড়ে ওঠছে বসতি।
শনিবার (২০ জুন) সরেজমিনে দেখা যায়, উচ্ছেদে ভেঙে দেওয়া টিনশেড ঘর আবার গড়ে ওঠছে। পুনরায় দখল হয়ে যাচ্ছে রেলের পাশের উচ্ছেদ করা জায়গাও। একইসাথে ১ নং রেল গেইট থেকে ২ নং রেল গেইট পর্যন্ত রেলের দুই পাশে শতাধিক ফলের দোকান, দা-বটির দোকান, সবজির দোকান বসানো হয়েছে। ফলে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ পথচারীরা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভূ-সম্পত্তি বিভাগ জমি উদ্ধারের পর সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করে দেয়াল বা কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে সংরক্ষণ করা প্রকৌশল বিভাগের কাজ। কিন্তু অবৈধ দখলমুক্ত করার পর যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ না করায় জমির দখল ধরে রাখতে পারছে না রেলওয়ে। সুযোগ বুঝে ফের জায়গাগুলো দখলে নিয়ে নিচ্ছে এলাকাভিত্তিক প্রভাবশালীরা।
পুনরায় অবৈধ দখলের বিষয়ে জানতে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা কংকন চাকমার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দৈনিক সংবাদচর্চাকে বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে প্রায় দেড় মাস বন্ধ রয়েছে অভিযান কার্যক্রম। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারও অভিযান পরিচালনা করা হবে। আমাদের কাজ দখল হওয়া জমি উদ্ধার করে দেওয়া।
তিনি আরো বলেন, আমরা শীঘ্রই এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিবো। যদি দেখি দখলের পরিমাণ অনেক বেশী বা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে তাহলে আমরা দ্রুতই ব্যবস্থা নিবো, আর যদি দেখা যায় কিছু দিন পরে করা যাবে তাহলে কিছুদিন পরেই আমরা এ ব্যবস্থা নিবো।