সংবাদচর্চা রিপোর্ট
বাড়ি ভাড়া না দেয়ায় এক রিকশা চালক ও তার স্ত্রীকে মারপিট করার অভিযোগ উঠেছে গোগনগর ইউনিয়নের মসিনাবন্দ এলাকার বাড়িওয়ালা আওলাদ হোসেন ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগে ভাড়াটে শিখা জানান, করোনার জন্য ২ মাসের ভাড়া আটকে যাওয়ায় গতকাল তাদের রড দিয়ে পিটুনি দেয়। মারপিটের কথা স্বীকার করলেও বাড়িওয়ালা আওলাদের স্ত্রীর দাবি, ভাড়ার জন্য নয় খারাপ আচরণের জন্য মারধর করা হয়েছে। তিনি জানান, ২ মাস নয় ৫ মাসের ভাড়া আটকে আছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিবাদী ভাড়াটিয়া শিখা তার পরিবার নিয়ে ১০ মাস ধরে বাড়া বাসা নিয়ে ওই এলাকায় বসবাস করছেন। এমতবস্থায় তাদের দুই মাসের ভাড়া বকেয়া হয়ে যায়। বড়িওয়ালা বেশ কিছুদিন ভাড়ার কথা বললেও তারা দিতে পারছিলো না। করোনা পরিস্থিতির কারণে তারা ভাড়া দিতে ব্যর্থ হন। পরে এলাকার বাবুর আলীর ছেলে বাড়িওয়ালা আওলাদ হোসেন ও তার মেয়ে আপিয়াসহ অজ্ঞাতনামা আরও বেশ কয়েকজন মিলে শিখার উপর আক্রমণ করেন। তাকে মারধররত অবস্থায় স্বামী রিয়াজ উদ্দিন এগিয়ে আসলে তাকেও রড দিয়ে এলোপাথারি পিটিয়ে আহত করা হয়।
বিষয়টি স্বীকার করে বাড়ির মালিক আওলাদ হোসেনের স্ত্রী সংবাচর্চাকে জানান, ওই মহিলার স্বভাব ভালো না। তারা প্রতিনিয়তই ঝগড়া করতো। যার কারণে আমার বাড়ির বাকি ভাড়াটিয়াদের সমস্যা হতো। বাড়ির মানুষ ও আমাদের সাথে ঝগড়া করতো। আমরা তাদের কাছ থেকে গত ৫ মাসের ভাড়া পাই। তারপরেও আমরা কিছু বলি নাই। আমরা শুধু তাদের আচার-আচরণ অর্থ্যাৎ ঝগড়ার বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা আমাদের উপর প্রথমে আক্রমণ করে। আমার স্বামীকেও তারা হুমকী প্রদান করে। এ ঘটনায় সেসময় আমাদের সাথে তাদের বাক বিতন্ডার সৃষ্টি হয় এবং মারামারির ঘটনা ঘটে। তিনি দাবি করেন, মারামারি পর শিখা নিজের জামা ছিড়ে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করবে বলে হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. রাসেল বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে যতটুকু জানতে পেরেছি শুধু ভাড়ার বিষয় নয় সেই সাথে আরও কিছু ঘটনা এখানে আছে। আমি বিষয়টি সতত্য যাচাইয়ের চেষ্টা করছি। তদন্তের পর সবকিছু বলা যাবে।