সংবাদচর্চা রিপোর্ট
পুলিশ সুপার বলেছিলেন, বিপনী বিতানে কোন শিশু আনা যাবে না। তবে তা শুনছে না মানুষ। অনেকেই কেনাকাটা করতে শিশুদের নিয়ে আসছেন। রাস্তা সহ সর্বত্র সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে বলা হয়েছে। তাও আমলে নিচ্ছে না অনেকে। ব্যাংকগুলো কর্মীদের করোনা থেকে বাঁচাতে কর্মী সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছেন। এর ফলে সেবা দিচ্ছে ধীর গতিতে আর এতে গ্রাহকের ভিড় লেগে থাকে প্রতিদিন। বাজারেও গাদাগাদি করে মানুষ আসা যাওয়া করছে। এসব বিষয়ে অনেক প্রচারণা চালালেও ব্যবস্থা নেয়ার পরিমাণ অনেক কম বলে মনে করেন সচেতন মহল। তবে গতকাল বিকেলে স্বাস্থ্য বিধি না মেনে জেলা প্রশাসন শহরের দু’টি মার্কেট বন্ধ করে দেয়া হয়।
মার্কেট খোলার ঘোষণা আসার পর নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম বলেছিলেন, মার্কেটে শিশুদের সঙ্গে আনা যাবে না। তবে তার এ বলা আর বাস্তব চিত্র একেবারেই ভিন্ন। প্রতিদিনই নারী বা পুরুষ ক্রেতাদের সাথে তাদের ছোট সন্তানরা আসছে মার্কেটগুলোতে। শিশুদের হাত ধরে কিংবা কোলে করে নিয়ে কেনাকাটা করছেন তারা। রিকশায়ও গাদাদাদি করে বসার চিত্র গণমাধ্যমে এসেছে।
রাস্তায় প্রয়োজনীয় কাজে যেমন মানুষ চলাচল করছে তেমনি অপ্রয়োজনেও আসছে। কম বয়সী মোটরবাইক চালকরা আগের স্বাভাবিক সময়ের মতোই অযথাই ঘুরছে শহর। পুলিশের চেকপোস্টের সামনে দিয়েও তারা বিনা বাধায় চলে। আর পাড়া মহল্লাগুলোতে লকডাউনের শুরু থেকেই সামাজিক দূরত্ব না মানার অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে আয় রোজগার বন্ধ থাকায় ব্যাংক থেকে টাকা তোলার হিড়িক পড়েছে। এছাড়া লকডাউনের ফলে বিদেশ থেকে স্বাভাবিকভাবে অনেকে টাকা পাঠাতে না পেরে আইডি ব্যবহার করে টাকা পাঠাচ্ছেন। ব্যাংক স্টাফরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় তারা কর্মীর সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছেন। এসব কারনে প্রতিনিদ শহরের ব্যাংকগুলোতে ভিড় দেখা যায়। লম্বা লাইন লেগে থাকে অনেক ব্যাংকের সামনে। গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে গেছে, ধীর গতিতে সেবা দেয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল শহরের ২ নম্বর রেলগেট এলাকায় ইসলামী ব্যাংকের নীচে লাইনে দাঁড়ানো এক নারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তার আত্মীয় বিদেশ থেকে আগে তার একাউন্টে টাকা পাঠাতেন। গত দুই মাস যাবত ইসলামী ব্যাংক ছাড়া অন্য কোন ব্যাংকে টাকা যাবে না বলে জানানো হয়। এ কারনে বাধ্য হয়ে ইসলামী ব্যাংকে এসেছেন। তবে এ ব্যাংকে সেবার দেয়া হচ্ছে একেবারে ধীর গতিতে। যার ফলে মূল সড়কেও গ্রাহকদের লম্বা লাইন দেখা যায়।
প্রতিদিন শহরের দ্বিুগুবাবুর বাজার, নিতাইগঞ্জ পাইকারী বাজার, ফতুল্লা বাজার সহ বিভিন্ন বাজারে ভিড় লেগে থাকে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। তবে এসব ভিড় রোধে তেমন কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি সংশ্লিষ্টদের। প্রতিদিন পুলিশ কয়েকবার টহল দিলেও কাজের কাজ তেমন হচ্ছে না বলে মনে করেন সচেতন মহল।