আজ মঙ্গলবার, ১৬ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

‘ওসমান পরিবারের অস্ত্র উদ্ধার করুন’

সংবাদচর্চা রিপোর্ট :
নারাণয়গঞ্জ মহানগর বিএনপি আহ্বায়ক অ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, গত মাসের ১৫ তারিখ থেকে আগস্টের ৫ তারিখ পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জে খুন-গুম হয়েছে। সেই খুনের হিসাব দিতে হবে শেখ হাসিনা, শামীম ওসমান, সেলিম ওসমান, আজমেরী ওসমান, অয়ন ওসমান, মেয়র আইভী, শাহ নিজাম, কমিশনার মনির, বাবুকে। আপনারা মনে করেছেন বেঁচে গেছেন। ছাত্র-জনতার দাবির প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে মেয়র আইভী রাজপথে নেমে দৃষ্টতা দেখিয়েছে। তার দায় দিয়ত্ব আপনাকে বহন করেত হবে।
ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালিয়ে হত্যার দায়ে শেখ হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালনের দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি হিসাবে গতকাল বিকালে নারায়গঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে তিনি এ কথা বলেন
সাখাওয়াত বলেন, শামীম ওসমান, আজমেরী ওসমান, অয়ন ওসমানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী নারায়ণগঞ্জ শহরে আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হাজার হাজার মানুষের সামনে গুলি চালিয়েছে। শহরে অনেকে খুন হয়েছে। তাই তত্ত্বাবধাকয় সরকারকে বলতে চাই আপানারা কঠোর হস্তে এই সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করুন। তাদের গ্রেপ্তার করে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করুন। তাদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসুন। চাষাড়া-চানমারীতে অপারেশন চালালে বুঝতে পারবেন শামীম ওসমানের বাহিনীর কত অস্ত্র। এদের গ্রেপ্তার করুন। তাহলে নারায়ণগঞ্জে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, কোনো অন্যায় থাকবে না। হিন্দু, মুসলিম খ্রিষ্টান সবাই আমরা বাংলাদেশের নাগরিক। সকলে মিলে মিশে বসবাস করে আসছি। আগামীতেও একে অপরকে সহযোগিতা করে আমরা সুন্দর সমাজ গড়ে তুলবো। সংখ্যালঘু ভাইয়েরা আমার, আপনাদের কেউ হয়রানী করলে প্রশাসনকে জানাবেন, আমদের জানাবেন, আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।
তিনি আরও বলেন, আপনারা পিলখানার শত শত সেনাবাহিনীকে হত্যা করেছেন, গণহত্যা করেছেন। সারা বাংলাদেশে খুন-গুম করেছেন। নারায়ণগঞ্জে দেখেছেন, শামীম ওসমানের ২৬ টি গাড়ির পুড়ানো হয়েছে। এই ২৬টা গাড়ি শামীম ওসমান নিজে পুড়িয়েছে। এই গাড়িগুলো ইন্সুরেন্স করা, তাই এগুলো পুড়লে নতুন গাড়ির মূল্য পাবে। গাড়ি নিজে পুড়িয়ে সে ছাত্রদের উপর দায় চাপাতে চেয়েছে। রাইফেলস ক্লাব, নারায়ণগঞ্জ ক্লাব, পাসপোর্ট অফিস, পিবিআই অফিস ভেঙে, পুলিশদের উপর হামলা করে তারা পুলিশকে ছাত্র-জনতার উপর ক্ষেপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিডিআর, র‌্যাবকে ব্যবহার করে ছাত্রÑ জনতাকে পাখির মত হত্যা করে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জে জ্বালাও পোড়াও কর্মকান্ড চালিয়েছে। নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে যারা হামলা করেছে তাদের আমরা চিনি না, তারা আওয়াম লীগ-শামীম ওসমানের সন্ত্রাসী বাহিনী। যারা অপকর্মগুলো করেছেন, ২-১ দিনের মধ্যে আপনাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে, মামলা করা হবে।
এসময় এই কর্মসূচিতে সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় কর্মসূচীতে আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড. সরকার হুমায়ুন কবির, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না প্রমুখ।