আজ মঙ্গলবার, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

এবার আইনজীবীকে বিয়ে করলেন রেলমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এবার দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার মেয়ে শাম্মী আকতার মনিকে (৪২) বিয়ে করেছেন । শনিবার (৫ জুন) ইসলামী শরিয়াহ ও সরকারি আইন অনুসরণ করে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

শুক্রবার (১১ জুন) সকালে বিয়ের বিষয়টি গণমাধ্যমের কাছে নিশ্চিত করেছেন শাম্মী আকতার মনির বড় ভাই মো. জাহিদুল ইসলাম মিলন হোসেন।

শাম্মী বিরামপুর উপজেলার নতুন বাজার এলাকার মৃত আব্দুর রহিমের মেয়ে। তারা দুই ভাই এক বোন।

এদিকে বৃহস্পতিবার (১০ জুন) রেলমন্ত্রী বিয়ে করবেন এমন খবর মন্ত্রী নিজেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেন। বিয়ের করবেন বিষয়টি গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পরার একদিন পর শুক্রবার মন্ত্রী ৫ জুন বিয়ে করেছেন এমনটা নিশ্চিত করেন পাত্রী শাম্মী আকতার মনির বড় ভাই মো. জাহিদুল ইসলাম মিলন হোসেন।

স্থানীয়রা জানান, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে (পিডিবি) লাইনম্যান পদে চাকরির সুবাদে কয়েক বছর আগে আব্দুর রহিম বিরামপুরে আসেন। তারপর বিরামপুরেই থেকে যান। এরপর বিরামপুরের নতুন বাজার এলাকায় জায়গা কিনে বাড়ি করে স্থায়ী হন।
জাহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, আমার বোন শাম্মী ঢাকার উত্তরায় থাকেন। সে আইন বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করে হাইকোর্টে এক সিনিয়রের সঙ্গে প্র্যাকটিস করছেন। আইনি বিষয়ে পরামর্শ নিতে ২০ দিন আগে রেলমন্ত্রীর কাছে যায় আমার বোন। পরে আমার বোনকে মন্ত্রীর পছন্দ হয়। পারিবারিকভাবে ৫ জুন উত্তরায় আমার বোনের বাসায় তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়েতে বরপক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিরামপুরের বিচারপতি ইজারুল হক ও তার স্ত্রী। কনে পক্ষে আমি ও আমার ভাই উপস্থিত ছিলাম।

প্রসঙ্গত, নূরুল ইসলাম সুজনের স্ত্রী নিলুফার জাহান ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মারা যান। তাদের এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। তিন সন্তানেরই বিয়ে হয়েছে। ৬৫ বছর বয়সী নূরুল ইসলাম ১৯৫৬ সালের ৫ জানুয়ারি পঞ্চগড়ে জন্মগ্রহণ করেন।
পঞ্চগড়-২ (বোদা-দেবীগঞ্জ) আসন থেকে নবম, দশম এবং একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৮ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর হন রেলমন্ত্রী।

নূরুল ইসলাম সুজন পেশায় সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলারও একজন আইনজীবী ছিলেন।

জানা গেছে, শাম্মী আকতার মনির এর আগে কুষ্টিয়ায় বিয়ে হয়েছিল। পারিবারিক সমস্যার কারণে ২০১১ সালে ডিভোর্স হয়ে যায়। ওই ঘরে একটি মেয়ে রয়েছে। এরপর থেকে মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় থাকে তার বোন।