আজ শুক্রবার, ২৬শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

‘একতরফা কমিটি করতে আড়াইহাজারে আসছে মির্জা ফখরুল’

টি.আই.আরিফ :

আড়াইহাজার থানা বিএনপির একতরফা কমিটি গঠনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সুত্রের খবর আগামী ১৩ এপ্রিল আড়াইহাজার থানা বিএনপির সম্মেলন বান্টি এলাকায়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ। সুত্রের খবর আড়াইহাজার থানা বিএনপিতে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের অনুসারি সব পদ পাচ্ছে। আড়াইহাজার থানা বিএনপির আহ্বায়ক ইউসুফ আলী সভাপতি হচ্ছে আর সদস্যসচিব জুয়েল আহমেদ সেক্রেটারী হচ্ছে। আজাদের প্রতিপক্ষের অনুসারিরা কমিটিতে থাকছে না। গতকাল এ তথ্য জানিয়েছে জেলা বিএনপির প্রথম সারির এক নেতা। তিনি বলেন ,আড়াইহাজার থানা বিএনপিতে যারা থাকছে সব আজাদের লোক। আহবায়ক কমিটির নেতারাই থানা কমিটিতে থাকছে।
এদিকে আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে স্থান পায়নি সাবেক এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুর , উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবু । থানা বিএনপির সম্মেলনকে ঘিরে তাদেরকে নিয়ে তৃণমূলে আলোচনা।

দলীয় একাধিক নেতা জানান, আড়াইহাজার বিএনপি থেকে আঙ্গুর সমর্থকদের মাইনাস করা ষড়যন্ত্র চলছে। সেই ষড়যন্ত্র যোগ দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজাদের একতরফা কমিটিকে স্বীকৃতি দিতে মির্জা ফখরুল আড়াইহাজার থানা বিএনপির সম্মেলনে আসছে। প্রশ্ন উঠছে অন্য সব থানা বিএনপির সম্মেলনে কি মির্জা ফখরুল ইসলাম যাবেন। তিনি যদি থানা বিএনপির সম্মেলন করেন তাহলে সাংগঠনিক সম্পাদকদের কাজ কি? জেলা বিএনপির সম্মেলন কারা করবে?

জানতে চাইলে আড়াইহাজারে বিএনপির সাবেক এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুর বলেন, এখন পর্যন্ত সম্মেলনের দাওয়াত পায়নি। আমি আড়াইহাজারে বিএনপির তিনবারের সাবেক এমপি। মির্জা ফখরুল ইসলাম এর আগেও আড়াইহাজারে এসেছিলেন সে সময়ও আমাকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি। নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক আড়াইহাজার থানা বিএনপির এক নেতা বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আড়াইহাজার থানা বিএনপির সম্মেলনে না আসলে দলের জন্য মঙ্গল হবে। এখন তিনি আসলে আড়াইহাজারে বিএনপির মধ্যে আরও কোন্দল বাড়বে। কারণ ঘরে বসে আড়াইহাজার থানা বিএনপির আহবায়ক কমিটি করা হয়েছে। সেই কমিটি করার জন্য প্রবীন নেতাদের মতামত নেওয়া হয়নি। অনেক নেতাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অনেক নেতাকে সম্মেলনে যাওয়ার জন্য দাওয়াত দেওয়া হয়নি।