টি.আই.আরিফ:
দলের দুঃসময়েও বিএনপিতে ষড়যন্ত্র লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সুত্রের খবর গা ঢাকা দিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক রবি ,এলাকা ছাড়া জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। নারায়ণগঞ্জে পুলিশ -বিএনপি সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার পর তারা এলাকায় নেই। এমন পরিস্থিতিতে দল চালাবে কে?
দলটির এক নেতা এই প্রতিবেদককে আক্ষেপ করে বলেন, বাইরের লোকদের নারায়ণগঞ্জের নেতা বানালে — যা হয়। রবি নোয়াখাইল্যে ,মামুন বরিশাল্যে। তারা চাচা-ভাতিজা দলের বারোটা বাজাচ্ছে। অজিনাল নারায়ণগঞ্জের কেউ একটু এগোলেই তাকে সাইজ করে দেয়।
তিনি আরও বলেন , আমাদের মহাসচিব মির্জা ফখরুল টের পেয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন এই সেটে (বর্তমান কমিটি) নারায়ণগঞ্জে কাজ হবে না।
এদিকে রূপগঞ্জ থানা বিএনপির সম্মেলন ঘিরে বিএনপি নেতাদের মধ্যে চরম কোন্দল, গ্রুপিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সুত্রের খবর রূপগঞ্জ থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক পদ থেকে শরীফ আহমেদ টুটুলকে সরানোর কথা হচ্ছে। তাকে সরানোর পক্ষে বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব এমন তথ্য দিচ্ছে থানা বিএনপির একাধিক নেতা।
নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক জেলা বিএনপির দায়িত্বশীল এক নেতা বলেন, রূপগঞ্জ থানা বিএনপির আহবায়ক এড. মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন ও সদস্য সচিব বাচ্চু তারা দুই জন্য টাকা দিয়ে কেন্দ্রের নেতাদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করছে। যাতে তারা একতরফা কমিটি করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, কাজী মনির খুব চালাক । গতকাল নারায়ণগঞ্জ কোর্টে দিপু ভুঁইয়াকে ডেকে নিয়ে নাসির, হুমায়ুনের কাছে বসিয়েছে। অথচ কোর্টে হাজিরা দেওয়ার আগেও কাজী মনিরের সাথে দিপুর দ্বন্দ্ব ছিলো। আবার নাসিরের সাথেও দিপু ,হুমায়ুনের দ্বন্দ্ব। ওই বসা অনেকেই মেনে নিতে পারেনি। দিপু চাচ্ছে থানা বিএনপির কমিটিতে তার পছন্দের ব্যক্তিদের রাখতে।
সুত্রের খবর মোস্তাফিজুর রহমান দীপু ভুইয়া, হুমায়ুন, বাচ্চু এক। কাজী মনির, নাসির, টুটুল, সায়েম–এরা আরেক গ্রুপ। তাদের দুই গ্রুপের মধ্যে কখনো কখনো কাজী মনিরের খবর থাকে না । তখন নাসিরের প্রভাব বাড়ে। দলটির একাধিক নেতা বলেন, ইউনিয়ন কমিটি নিয়ে টুটুলের সঙ্গে হুমায়ুনের দ্বন্দ্ব। টুটুলকে বাদ দেওয়ার দাবি তুলছে একটি চক্র। যে একটু এগোবে তাকেই সাইজ করে । এটা দলের জন্য মঙ্গল হবে না।