আজ শুক্রবার, ২২শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ঈশা খাঁ সড়কের বেহাল দশা

সংবাদচর্চা রিপোর্ট
প্রতিদিন ঈশা খা রোড দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চল থেকে অংসখ্য ছোট-বড় যানবাহন শহরে ঢোকে। পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জ জেডি থেকে অসংখ্য সিরামিক মাটি বোঝাই ভারি যানবাহন চলাচল করে থাকে এই সড়ক দিয়ে। যার ফলে ডিসির বাড়ির সামনে থেকে খানপুর হাসপাতাল পর্যন্ত সড়কটি সংস্কার করার পরেও দীর্ঘস্থায়ী হয় না। নারায়ণগঞ্জ সদর থেকে সিদ্ধিরগঞ্জে সহজেই যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা বলাচলে এই সড়টিকে।

অথচ, গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটির দিকে তাকানো যায় না। দীর্ঘদিন ধরে ঈশা খাঁ সড়কের খানপুর থেকে কিল্লারপুল পর্যন্ত বেহাল অবস্থা। তবে, কয়েক মাস পরপর রাস্তাটি সংস্কার করা হলেও বিআইডব্লিউটিসি’র গোডাউন এবং সিরামিক মাটি সরবরাহ করা এবং ভাড়ি যানবাহন চলাচলের কারণে সংস্কার করার পরেও অল্প দিনের মধ্যেই আবার সেই পুরোনো রূপে ফিরে যায় সড়কটি। রাস্তাটির খানপুর ৩০০ শয্যার হাসপাতালের পেছন থেকে কিল্লারপুল পর্যন্ত অংশ বেশি খারাপ। এ অংশে সড়ক থেকে পিচ-পাথর-ইট উঠে গেছে। ডিসির বাসভবনের সামনের সড়ক রীতিমত মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তাটিতে পানি জমে যায়। বিশেষ করে ওই সড়কগুলোর টানিং পয়েন্টের স্থানগুলোতে খানাখন্দে ভরা। যে কারনে দূর্ভোগে পড়তে হচ্ছে যাত্রী ও চালকদেরও। কিছুদিন পর পর হালকা ঢালাই দেয়া হলেও কদিন পরেই আবার রাস্তায় গর্ত হয়ে যাচ্ছে।

কেনো সড়কটি সংস্কার হওয়ার পরেও আবার আগের রূপে ফিরে যায় এমন প্রশ্ন জানতে মুঠোফোন করা হয় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলি আশরাফুল ইসলামকে। তিনি বলেন, এই সড়কটি সংস্কারের বিষয়ে নাসিক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী বলতে পারবেন। সড়কটি নিমার্ণ করা হবে কিনা সে বিষয়ে মেয়র সিদ্ধান্ত নিবেন, আমরা তো চাকরি করি। যদি মেয়র মহাদয় নির্দেশ দেন তাহলে আমরা সড়কটি সংস্কার করবো।

সড়কটি সংস্কারে বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন মেয়রের সিদ্ধান্ত জানতে মুঠোফোন করা হলে জানা যায়, তিনি বর্তমানে জার্মানীতে অবস্থান করছেন।

খানপুর এলাকার বাসিন্দা নূর আলম জানান, অনেকদিন যাবত রাস্তাগুলোর খারাপ অবস্থা। প্রায়সময় গাড়ি, অটোরিকশা, রিকশা গর্তে পড়ে যায়। কিছুদিন যাবত টানা বৃষ্টিতে গর্তগুলোতে পানি জমেছে। এখন আরও বেহাল অবস্থা, রাস্তা ভরা কাদাঁ। এলাকার বয়স্ক যারা আছেন তারা তো রাস্তার কারণে বাইরে যেতেই চান না। কেননা ভাঙা রাস্তায় গাড়ির ঝাকুনিতে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন।

এই সড়কে গাড়ি চালানোও এক প্রকার দুঃসাধ্য ব্যাপার। খুব সতর্কতার সাথে এই সড়কে গাড়ি চালাতে হয় চালকদের। একটু উনিশ-বিশ হলেই গাড়ি উল্টে যাবার ভয়। এ বিষয়ে বাস চালক জলিল বলেন, যেই অবস্থা, অনেক সাবধানে গাড়ি চালাতে হয়। গাড়ির কিছু হলে জরিমানা তো আমাদের দিতে হবে। মালিক তো এটা বুঝতে চাইবে না রাস্তা ভালো না খারাপ।

অনতি বিলম্বে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়ে কিল্লারপুল এলাকাবাসী বলেন, সড়কটি সংস্কার করা হলে আমাদের চলাচলের জন্য খুবই ভালো হয়। আমরা চাই অতি শীঘ্রই যাতে করে রাস্তাটি সংস্কার করা হয়।