আজ বৃহস্পতিবার, ১৫ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩১শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

‘ইভিএমে একজনের ভোট অন্যজন দিতে পারে না’

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে এমনটা জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো: রফিকুল ইসলাম বলেছেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো লাশ দেখতে চাই না। তিনি বলেন, আমার জীবনে বহু লাশ দেখেছি কিন্তু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আর কোনো লাশ দেখতে চাই না। নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

রবিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের তৃতীয় নির্বাচনে মেয়র, কাউন্সিলর ও গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম।

নাসিক নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মাহফুজা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ, জেলা পুলিশ সুপার মো: জায়েদুল আলম, সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার মতিয়ূর রহমান। সঞ্চালনায় ছিলেন সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার আফরোজা আক্তার।
ভোট কেন্দ্র ভোটাররা যেতে পারবে কিনা? অনেক প্রার্থীর শঙ্কার জবাবে ইসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ১৬ জানুয়ারির নির্বাচনে পর্যাপ্ত পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি রাখা হয়েছে প্রয়োজনে আরো বেশি রাখা হবে। আপনারা ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে বলবেন। ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।

তিনি বলেন, ইভিএমে একজনের ভোট অন্যজন দিতে পারে না। এটা নিয়ে সন্দেহ করার কোনো সুযোগ নেই। এটা পরীক্ষিত। ইভিএমে একটি মাত্র উপায় আছে হাতের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ব্যালট ওপেনের পর একজনের ভোট আরেকজনের দেয়ার। সেটা হল আরেকজন যদি আপনার ব্যালটে টিপ দিয়ে দেয়। এটা হলে সাথে সাথে বাধা দিবেন। এরপরেও বন্ধ না হলে ডকুমেন্টারি অভিযোগ দিবেন। দরকার হলে আমরা ভোট বন্ধ করে দিয়ে পুনরায় ভোটের ব্যবস্থা নেব। ইভিএমে একজনের ভোট আরেকজনের কাছে চলে যাওয়া কখনও সম্ভব না। আমার অনুরোধ আপনারা এক্সপার্ট নিয়ে আসেন এবং আমাকে দেখান। কারচুপির প্রমাণ করতে পারলে আমি ইভিএমে ভোট করব না। এ আশংকার কোন কারণ নেই।

লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে অভিযোগ প্রসঙ্গে রফিকুল ইসলাম বলেন, সব প্রার্থী সমান সুযোগ পাবে। কেউ যাতে ব্যত্যয় না ঘটায় সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেন। আপনারা যদি এ্যাকশন না নেন তাহলে আপনাদেরও আমরা ছাড় দিবো না। তিনি আরো বলেন, আমি নিজে নির্বাচন মনিটরিং করব। ভোটারদের মাঝে যেন ক্ষোভের সৃষ্টি না হয়। আপনাদের সহযোগিতা আমার দরকার। আপনারা মনে করবেন না আমরা উদাসীন। আপনারা আমাদের সহযোগীতা করবেন।