আজ বুধবার, ২১শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আ.লীগে দুই ভাগ,নৌকার জন্য প্রতীক্ষা

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনকে ঘিরে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে। সম্প্রতি নেতৃবৃন্দ পৃথক পৃথক বৈঠক করেছেন। এক পক্ষ আরেক পক্ষের ডাকা বৈঠকে যাননি। ক্ষণে ক্ষণে তাদের খেলার রঙ বদলে যাচ্ছে।

বর্তমান মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াত আইভীর পক্ষে আছেন মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগ সহ- সভাপতি আব্দুল কাদির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গর হোসেন, আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদের সদস্য এড. আনিছুর রহমান দীপু, মহানগর আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি শেখ হায়দার আলী পুতুল, নুরুল ইসলাম চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব, সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাত, জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান—-।
অপর পক্ষে রয়েছেন নারায়ণগঞ্জ -৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান—। তার তিন বন্ধু দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। তারা হলেন মহানগর আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি চন্দন শীল, সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ আবু হাসনাত শহীদ বাদল। ইতোমধ্যে মহানগর আওয়ামী লীগের ব্যানারে তারা দুই পক্ষ পৃথক পৃথক বৈঠক করেছেন। আনোয়ার হোসেন এর নেতৃত্বে মহানগর আওয়ামী লীগ এর একটি অংশ আইভীকে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার জোড়ালো দাবি করেছেন। শামীম ওসমানদের বৈঠক থেকে চন্দন শীল, খোকন সাহা, বাদল এই তিন জনের মধ্যে থেকে একজনকে মেয়র প্রার্থী করার দাবি করা হয়। তাদের লড়াই এখন কেন্দ্রীয় নেতাদের টেবিলে। সুত্রের খবর সেখানে নানা বিশ্লেষণ হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জের নেতৃবৃন্দ নৌকার প্রতীক্ষায় আছে। যে কোনো সময় মেয়র পদে প্রার্থী ঘোষণা করবে আওয়ামী লীগ ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে ওসমান বলয়ে আইভীর মতো মেয়র প্রার্থী নেই। সেদিক বিবেচনায় দলীয় মনোনয়নের দৌড়ে এগিয়ে আছেন আইভী।
আইভী নৌকা পেলে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিতরা নৌকার পক্ষে কাজ করবে কিনা তা নিয়ে নানা বিশ্লেষণ- আলোচনা হচ্ছে। তার কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে সম্প্রতি কিছু সভায় শামীমপন্থীরা আইভীর কঠোর সমালোচনা করেন। কেউ কেউ আইভীর পক্ষে কাজ করবেন না বলেও ঘোষণা দেন। তবে রাজনীতিতে শেষ বলে কোনো কথা নেই । সুত্রের খবর কেউ কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার চেষ্টায় আছে, ভালো সুযোগ পেলে তারা স্বতন্ত্র হবেন। আর জাতীয় পার্টি-বিএনপি প্রার্থী দেবে কিনা তা সময় বলে দেবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছে , আওয়ামী লীগ প্রার্থী ঘোষণা করলে অধিকাংশ নেতা কর্মী নৌকার পক্ষে কাজ করবে। তাদের দ্বন্দ্ব কমে আসবে।