আজ শনিবার, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আ.লীগের ভোট মাকসুদের বাক্সে

স্টাফ রিপোর্টার :
বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এম.এ রশিদের ভরাডুবির পর আওয়ামী লীগের অনেকেই জাতীয় পার্টিকে দোষারোপ করতে শুরু করেছে। তাদের অভিযোগ বন্দর উপজেলা জাতীয় পার্টি এম.এ রশিদকে ভোট দেয়নি। বন্দর উপজেলা জাতীয় পার্টি দোয়াত কলমের সাথে বেঈমানী করেছে। তবে এমন মতামতের বিপরীতে ভিন্ন কথাও বলছেন কেউ। তাদের ভাষ্য মতে জাতীয় পার্টি নয় বরং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই নিজ দলের প্রার্থীর সাথে বেঈমানী করেছে। তারা দলের ভেতরে মোস্তাক হয়ে বসে আছে।
গত ৮ মে অনুষ্ঠিত হওয়া বন্দর উপজেলার নির্বাচনী ফলাফল বিশ্লেষন করলে এ বিষয়ে একটি স্পষ্ট ধারনা পাওয়া যায়। শুধু জাতীয় পার্টি নয় আওয়ামী লীগের সমর্থক ভোটাররাও নিজ দলের প্রার্থীকে প্রত্যাখান করে মাকসুদ হোসেনকে আনারস প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়ী করেছে।
সূত্র মতে, বন্দর উপজেলা পরিষদের মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৩১ হাজার ৫৬৪টি ভোট। যার মধ্যে মোট ৫৪টি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনের দিন ভোট প্রদান করেছেন মাত্র ৬০ হাজার ৩২৫জন ভোটার।
চেয়ারম্যান প্রার্থীর পাশাপাশি তারা ভাইস চেয়ারম্যান এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদেও ভোট প্রদান করেছেন। এবারের নির্বাচনে সরাসরি আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এম.এ রশিদ। আর নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ থেকে সমর্থন দেওয়া হয়েছিলো ছালিমা ইসলাম শান্তাকে। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ৪জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›দ্ধীতা করেছেন। এর মধ্যে দুইজন ছিলেন জাতীয় পার্টির রাজনীতি সাথে সম্পৃক্ত। বাকি দুইজন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত। যদিও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে কাউকে নিদিষ্ট করে সমর্থন দেওয়া হয়নি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই পদে আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাই বিজয়ী হয়েছেন।
নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছালিমা ইসলাম শান্তা পেয়েছেন ২৯ হাজার ৪৫৬ ভোট। যা কিনা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী প্রার্থী মাকসুদ হোসেনের আনারস প্রতীকের প্রায় সমান। মাকসুদ হোসেন পেয়েছেন ২৯ হাজার ৮৭৩ ভোট। বিপরীতে দোয়াত কলম প্রতীকে এম.এ রশিদ পেয়েছেন মাত্র ১৪ হাজার ৮৩৮ ভোট। অন্য দিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ দলীয় যে দুইজন প্রার্থী ছিলেন এদের মধ্যে বিজয়ী হওয়া আলমগীর হোসেন মাইক প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৬০৬ ভোট, আওয়ামী লীগ দলের অন্য প্রার্থী শহিদুল ইসলাম জুয়েল টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৪২৮ ভোট। দুই আওয়ামী লীগ প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট যোগ করলে ভোট সংখ্যা দাড়ায় ৩১ হাজারের বেশি। তাহলে এখানে প্রশ্ন থেকে যায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী নারী ভাইস চেয়ারম্যান যেখানে ২৯ হাজারের বেশি ভোট পায়, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩১ হাজারের বেশি ভোট পায়, সেখানে চেয়ারম্যান পদে এম.এ রশিদ মাত্র ১৪ হাজার ভোট কেন পেলো। তাহলে আওয়ামী লীগের বাকি ১৭ হাজার ভোট কোথায় গেলো। কার বাক্সে গেলো? তবে কি আওয়ামী লীগের এই ১৭ হাজার ভোট মাকসুদ হোসেনের বাক্সে গেছে?

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ