নিজস্ব প্রতিবেদক
বেড়েছে বিদ্যুতের দাম। উৎপাদন বৃদ্ধি হওয়া সত্বেও হঠাৎ এ দামবৃদ্ধিতে অনেকটাই ক্ষুব্ধ জনতা। তাদের মতে, বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ঠিকই কিন্তু জনসাধারণের আয় বাড়েনি। মধ্য ও নি¤œবিত্তরা সরকারের এ সিদ্ধান্তে বেজায় চিন্তিত।
নগরবাসী জানায়, আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে বিদ্যুতের দাম। এতে সাধারণ গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল বাবদ খরচ যেমন বাড়বে, তেমনি পণ্য উৎপাদনে খরচ বাড়বে বড় বড় শিল্প কারখানাগুলোরও। আর উৎপাদন খরচ বাড়ায় পণ্যমূল্যও বাড়বে, ভোক্তাদের প্রতি মাসে গুনতে হবে বাড়তি টাকা। বিদ্যুতের এই বাড়তি দাম মার্চ থেকে কার্যকর হবে। বারবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কারনে নাগরিকদের জীবনযাত্রায় বাড়তি চাপ যোগ করবে এটাই স্বাভাবিক।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে মূল্য বৃদ্ধির এ ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। জানা গেছে, খুচরা পর্যায়ে ব্যবহার করা বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিট বা কিলোওয়াট ঘন্টায় দাম বাড়ানো হয়েছে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বা ৩৬ পয়সা। এ ক্ষেত্রে প্রতি ইউনিটের দাম ৬ টাকা ৭৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৭ টাকা ১৩ পয়সা করা হয়েছে। অর্থাৎ আগে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহারে ১০০ টাকা বিল দিতে হতো, এখন একই পরিমাণ ব্যবহার করে ১০৫ টাকা ৩০ পয়সা বিল দিতে হবে। আর পাইকারিতে বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিট গড়ে ৪০ পয়সা বা ৮ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। ৪ টাকা ৭৭ পয়সা থেকে বেড়ে প্রতি ইউনিটের দাম হয়েছে ৫ টাকা ১৭ পয়সা। এছাড়া বিদ্যুৎ সঞ্চালন মূল্যহার বা হুইলিং চার্জ প্রতি ইউনিটে শূন্য দশমিক ২৭৮৭ টাকা থেকে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়িয়ে করা হয়েছে শূন্য দশমিক ২৯৩৪ টাকা।
সচেতন মহলের মতে, দেশে গ্যাসভিত্তিক কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই বিদ্যুতের দাম কমার কথা। কিন্তু দাম না কমিয়ে উল্টো বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানোর উদ্যোগ কেন নেয়া হচ্ছে তা আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না। জানা কথা যে, বিদ্যুতের দাম বাড়লে সব রকম দ্রব্যমূল্য ও সেবামূল্যের ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। আর শেষ পর্যন্ত তা বহন করতে হয় ভোক্তা সাধারণকে। তাই সাধারণ ভোক্তাদের সামর্থ্য তথা জনস্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যুতের দাম কীভাবে সহনীয় পর্যায়ে রাখা যায় তা নিয়ে সরকারকে ভাবতে হবে। একটি গণতান্ত্রিক সরকার বিদ্যুতের মতো জরুরি প্রয়োজনীয় সেবা খাতের ব্যাপারে জনবান্ধব নীতি নিয়ে এগোবে এটাই সবার প্রত্যাশা।