নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে নুরুন্নাহার (৭৫) নামে এক বৃদ্ধা মহিলাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার মালিকানাধীন টিনসেড ঘরের একটি কক্ষ থেকে ক্ষত বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনয়িনের ছোট বিনাইরচর গ্রামে শুক্রবার ৭ জানুয়ারি দিবাগত রাত ৭টার দিকে। নিহত নুরুন্নাহার ওই গ্রামের মৃত মোবারক হোসেনের স্ত্রী।
জানাগেছে, শুক্রবার দিবাগত রাত ৭টার দিকে নুরুন্নাহারের বাড়ীর ভাড়াটিয়া বিল্লালের স্ত্রী কুলসুম বেগম বাইরে থেকে এসে নুরুন্নাহারের টিনসেড ঘরের একটি ক্েক্ষ গিয়ে তাকে ক্ষত বিক্ষত ও রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে বাড়ির লোকজনদের খবর দিয়ে ডেকে এনে তাকে উদ্ধার আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। তখন কর্তব্যরত ডাক্তার নুরুন্নাহারকে মৃত ঘোষণা করেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ লাশটি তাদের জিম্মায় নিয়ে শনিবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ মর্গে পাঠায়।
নিহতের ছেলে কবির হোসেন জানান, যেই বাড়ী থেকে তার মায়ের লাশটি উদ্ধার করা হয় সেটি তাদের নতুন বাড়ী। কাছেই তাদের পুরানো বসত বাড়ী অবস্থিত। নুরুন্নাহার বিকেল ৫টা পর্যন্ত তার পুরানো বসত বাড়ীতেই অবস্থান করছিলেন। কখন বা কি ভাবে তিনি নতুন বাড়ীতে আসেন তা তিনি বা পরিবারের কেউ জানেন না। কে বা কারা তাকে খুন করেছে তা ও তাদের জানা নেই।
তবে একটি সূত্রে জানাযায়, নিহত নুরুন্নাহার জীবদ্দশায় তার একমাত্র ছেলে কবির হোসেনকে কিছু সম্পত্তি লিখে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার মেয়ে রানু আক্তার বেশ কয়েকবার তাকে মারপিট করে। এ ব্যাপারে নিহত নুরুন্নাহার থানায় একাধিক বার তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন। এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে মেয়ে রানু আক্তার জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নিহতের ছোট মেয়ে শাহীনুর আক্তার জানান, সন্ধায় আমার মা পাশেই খালার বাড়ি যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যান। এ সময় আমার মায়ের গলায় দুই ভরি ওজনের স্বর্নের চেইন হাতে দেড় ভরি ওজনের দুটি চুরি এবং কানে দুটি রিং পড়া ছিল। কিন্তু লাশের সাথে সে অলংকার গুলো পাওয়া যায়নি। আমি আমার মায়ের হত্যার বিচার চাই।
আড়াইহাজার থানার ওসি আনিচুর রহমান মোল্লা জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি হত্যাকান্ড। পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করছে। এ ব্যাপারে একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।