আজ শুক্রবার, ১৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আসামে বিক্ষোভ-ধর্মঘটে অচল একাংশ, ‘পুলিশি হত্যা’র বিচার দাবি

আসামে

আসামে বিক্ষোভ-ধর্মঘটে অচল একাংশ, ‘পুলিশি হত্যা’র বিচার দাবি
আসামে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কয়েকদিন ধরে আসামে চলা দিমাসা আদিবাসীদের বিক্ষোভ ও ধর্মঘট আরও জোরালো হয়ে উঠেছে। পুলিশের গুলিতে দুই আদিবাসী নিহতের ঘটনার দ্রুত বিচার চাইছে বিক্ষোভকারীরা। অবরোধে অচল হয়ে পড়েছে আসামের একাংশ। দুর্ভোগে পড়েছেন ট্রেন যাত্রীরা। গ্রেটার নাগাল্যান্ডের অংশ হতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বিক্ষোভ করে আসছিলো বিক্ষুব্ধ আদিবাসীরা। বৃহস্পতিবার পুলিশের গুলিতে দুইজন নিহত হওয়ার পর ঘটনার বিচারের দাবিতে আরও উত্তাল হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি।
এনডিটিভি জানায়, গত কয়েকদিন ধরে আসামের দিমা হাসাও জেলায় আদিবাসী দিমাসাদের বিক্ষোভ চলছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার মাইবাং রেলস্টেশনে বিক্ষোভকারীরা রেললাইন উপড়ে ফেলা এবং স্টেশনে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ শুরু করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, দুই পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হলে পুলিশের গুলিতে দুই বিক্ষোভকারী নিহত এবং অন্তত ৮ জন আহত হয়। এদিকে বিক্ষোভকারীদের ছোঁড়া পাথরের আঘাতে ২৫ পুলিশ সদস্যের আহত হওয়ার খবর দিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
নর্থওয়েস্ট ফ্রন্টিয়ের রেলওয়ের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব জ্যোতি শর্মা এনিডিটিভিকে জানিয়েছেন, আসাম থেকে শিলচর ও গুয়াহাটিগামী ট্রেন মাঝপথে আটকে যাওয়ায় দুই হাজারের বেশি যাত্রী দুর্ভোগে পড়েছেন। আসামের দক্ষিণাঞ্চল, মিজোরাম ও ত্রিপুরার সঙ্গে রেল যোগাযোগ সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, “২৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে যাত্রীরা স্টেশনে অপেক্ষা করছে। স্টেশনে ভাংচুর ও রেললাইন উপড়ে ফেলা হয়েছে। পথে রেললাইনের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে আমরা ট্রেন ছাড়বো না। ট্রেনে আটকে পড়া যাত্রীদের আমরা সড়ক পথে উদ্ধারের চেষ্টা করছি।”

‘পুলিশি হত্যাকা-’র প্রতিবাদে হাসাও জেলায় ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দেয় বিক্ষোভকারীরা। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় তারা মৃতদেহ নিয়ে মৌন মিছিল করেছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করতে হবে। নিহতদের পরিবারের সদস্যদের পুলিশে চাকরি ও আহত প্রত্যেকের পরিবারকে পাঁচ লাখ রুপি দেওয়ার দাবিও জানিয়েছে তারা।
আসাম পুলিশের মহাপরিদর্শক মুকেশ সাহাই এনডিটিভিকে বলেন, “দুই বিক্ষোভকারীর মৃত্যু অবশ্যই দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু ওই মুহূর্তে গুলি চালানো ছাড়া পুলিশের হাতে অন্য উপায় ছিল না। সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছে, কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এমনকি সেখানে ‘রিপাবলিক ডে’ উদযাপিত হয়েছে।”

কয়েক দিন আগে স্থানীয় একটি সংবাদ মাধ্যমে ‘আরএসএস ফাংশনারি’র এক সদস্যের বরাত দিয়ে একটি খবর প্রচার হয়। খবরে বলা হয়, ২০১৫ সালে ভারত সরকার ও সশস্ত্র এনএসসিএন(আইএম) দলের মধ্যে যে নাগা শান্তি চুক্তি সাক্ষর হয়েছে সেটা অনুযায়ী, ‘দিমা হাসাও জেলা গ্রেটার নাগাল্যান্ডের অংশ হবে’। কিন্তু নাগাসা আদিবাসীরা সেটা চাইছে না। তাদের আশঙ্কা গ্রেটার নাগাল্যান্ডের অংশ হলে তাদের নিজেদের ভূমি হারাতে হবে। অবশ্য পরে আরএসএস নেতা সংবাদে তার বক্তব্য ভুল ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন।