সংবাদচর্চা ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে হত্যা মামলার আসামী আমিনুল ইসলাম মোল্লার (৩০) আত্মহত্যা খবর পাওয়া গেছে । তবে তার পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করা হয়েছে। সে কারাগারের শিমূল-২ ওয়ার্ডে বন্দি ছিল।
নিহত আমিনুল ইসলাম মোল্লা জেলার আড়াইহাজার উপজেলার সাতগাও ইউনিয়নের পুরিন্দা মধ্যপাড়া গ্রামের এমদাদুল হক মোল্লার ছেলে। তার বিরুদ্ধে আড়াইহাজার থানায় হত্যা মামলা রয়েছে।
জানা গেছে, রোববার রাতে তাকে কারাগারের শিমূল-২ ওয়ার্ডে গলায় লুঙ্গি দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার করে ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে কারাগার কতৃপক্ষ। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ভাই আসাদুল হক অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাই সুস্থ্য ছিলো। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। জেলখানার মধ্যে এমন মৃত্যু কখনোই মানা যায় না।
ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. আসাদুজ্জামান জানান, হাসপাতালে ভর্তি করার পর চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ছাড়া বলা যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার সুভাষ ঘোষ বলেন, হাজতী আমিনুল ইসলাম মোল্লা মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন ছিলো। তার মানসিক চিকিৎসার জন্য ৪ বার ঢাকায় পাঠানো হয়েছিলো।
রোববার রাতে পৌনে ১২টার দিকে বাথরুমে গিয়ে বাথরুমের শিকের সাথে গলায় ফাঁস লাগায়। পরে কারারক্ষীরা তাকে বের করে নিয়ে এসে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়।
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরেও সে ১৫ থেকে ২০ মিনিট জীবিত ছিলো তারপরে সে মারা যায়। শুনেছি সে তার আপন চাচাকে হত্যার দায়ে হাজত খাটছিলো।
নারায়ণগঞ্জ সদর থানার এসআই আব্দুল জলিল জানান, গলায় দাগ ছাড়া শরীরের কোথাও কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।