আল কোরআন
সূরা তাওবা১
মদীনায় অবতীর্ণ।
আয়াত : ১২৯; রুকূ : ১৬
১৮. হ্যাঁ, আল্লাহর মসজিদগুলি আবাদ করা তাদেরই কাজ, যারা আল্লাহর প্রতি ও কিয়ামত দিবসের প্রতি ঈমান আনে, নামায আদায় করে ও যাকাত প্রদান করে এবং আল্লাহ ছাড়া কাউকেও ভয় করে না। বস্তুত এ সকল লোকের ব্যাপারে আশা করা যায় যে, তারা হেদায়াতপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
১৯. তোমরা কি হাজীদের পানি পান করানোকে এবং মসজিদুল হারামের রক্ষণাবেক্ষণ করাকে তাদের সমান সাব্যস্ত করে রেখেছ যারা আল্লাহ ও কিয়ামত দিবসের প্রতি ঈমান আনে ও আল্লাহর পথে জিহাদ করে? তারা আল্লাহর নিকট সমান নয়; আল্লাহ জালেম সম্প্রদায়কে সুপথ প্রদর্শন করেন না।
আল হাদিস
কেয়ামতে সাত ধরনের ব্যক্তি আল্লাহর ছায়ায় আশ্রয় পাবে
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “সাত ব্যক্তিকে আল্লাহ্ তাঁর ছায়াতলে আশ্রয় দেবেন, যেদিন তাঁর ছায়া ছাড়া আর কোন ছায়াই অবশিষ্ট থাকবে না। (তারা হলো: ১) ন্যায়পরায়ন শাসক, (২) যে যুবক আল্লাহর ইবাদাতের মধ্যে বড় হয়েছে, (৩) যে ব্যক্তি মসজিদ থেকে বেরিয়ে গেলেও তার অন্তর এর সাথে সম্পৃক্ত থাকে, (৪) এমন দু’জন লোক যারা আল্লাহর জন্য পরস্পর ভালবাসা স্থাপন করেছে; এই সম্পর্কেই একত্র থাকে এবং বিচ্ছিন্ন হয়, (৫) এমন ব্যক্তি যাকে কোন অভিজাত পরিবারের সুন্দরী রূপসী নারী (খারাপ কাজে) আহ্বান করেছে কিন্তু সে তাকে এই বলে প্রত্যাখ্যান করেছে; আমি আল্লাহকে ভয় করি, (৬) এমন ব্যক্তি যে এত গোপনের দান-সদকা করেছে যে, তার ডান হাত যা দান করেছে তার বাম হাতও তা জানতে পারেনি যে, ডান হাত কি দান করেছে, (৭) যে ব্যক্তি নির্জনে আল্লাহকে স্মরণ করেছে এবং তার দু‘চোখ বয়ে পানি পড়েছে।”
[বুখারী: ৬৬০, মুসলিম: ১০৩১]