আজ বুধবার, ২২শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মাদারীপুরে বিরল রোগে আক্রান্ত আব্বাস শেখের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন ডা.সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল

আব্বাস শেখের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন ডা.সিরাজুল

মাদারীপুরে বিরল রোগে আক্রান্ত আব্বাস শেখের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন ডা.সিরাজুল ইসলাম মেডিকেলআব্বাস শেখের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন ডা.সিরাজুল

মাদারীপুর প্রতিনিধি:
বিরল রোগে আক্রান্ত মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার ১৩ বছরের কিশোর আব্বাস শেখের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়ে তার চিকিৎসা শুরু করেছে ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল লিমিটেড।

বুধবার দুপুর সাড়ে তিনটায় আব্বাস শেখকে নিয়ে তার বাবা রাজ্জাক শেখ মালিবাগে অবস্থিত ডা. সিরাজুল ইসলাম হাসপাতালে পৌঁছলে জরুরি বিভাগে আব্বাসকে ভর্তি করা হয়।

জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. মেহেদী হাসান রাজু আব্বাসের শরীর প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সার্জারি বিভাগে ভর্তির জন্য নির্দেশনা দেন। আব্বাস শেখকে ১০০৭ নং কেবিনে ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জেনারেল সার্জন সহকারী রেজিস্ট্রার সহযোগী অধ্যাপক ডা.এ.কে.এম . রুহুল আমীনের অধীনে ভর্তি করা হয়। ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. মেহেদী হাসান রাজু বলেন, আব্বাসের শারীরিক পরীক্ষা করা হচ্ছে।

পরীক্ষার নিরীক্ষা ঠিক তার কি রোগ হয়েছে তা জানা যাবে।
এর আগে গত সোমবার ও মঙ্গলবার বিরল রোগে আক্রান্ত আব্বাসকে নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রকাশিত সংবাদ প্রতিষ্ঠানটির চিফ ইক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজের নজরে আসে। এসব সংবাদ দেখার পর বিরল রোগে আক্রান্ত মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার ১৩ বছরের কিশোর আব্বাস শেখের চিকিৎসার দায়িত নেবার ইচ্ছা পোষণ করেন।

হাসপাতালের সিইও অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজের নির্দেশ পেয়ে হাসপাতালের পক্ষ থেকে আব্বাস শেখের বাবা রাজ্জাক শেখের সাথে যোগাযোগ করা হয়। সামগ্রিক বিষয় জানার পর রাজ্জাক শেখ আব্বাসকে ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালে লি : দেওয়া চিকিৎসা সেবার সুযোগ গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত জানান।
বুধবার আড়াইটায় রাজ্জাক শেখ তার ছেলে আব্বাসকে নিয়ে ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল লি: আসেন।

প্রসঙ্গত, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার ১৩ বছরের কিশোর আব্বাস শেখ। তার ডান পা ফুলে বিশালাকৃতির হয়েছে। এতে করে সে চলাফেরা করতে পারছে না ; এমনকি তার স্কুলে যাওয়াও বন্ধ। তার পা দিয়ে বের হচ্ছে এক ধরনের রস। একারণে বাইরের কেউ তার সাথে মেশে না। এছাড়াও তার সারা শরীরজুড়ে উঠেছে আচিল। সব মিলে করুণ যন্ত্রণায় দিন কাটাছিল এ কিশোরের। ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আশা করেন খুব দ্রুতই যথাযত চিকিৎসায় আব্বাস স্বাভাবিক হয়ে ওঠবে।