সংবাদচর্চা অনলাইনঃ
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৮নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন সুকুমপট্টি এলাকায় লাকড়ী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তৃতীয় শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার বোন বাদি হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। যার মামলা নম্বর ১৯। ধর্ষণের ঘটনায় আপোষ না করায় মামলার বাদীকে হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সোমবার ২৯ জুন সকালে এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত আসামী আলমকে সদর মডেল থানা পুলিশ আদালতে প্রেরন করেন। আটককৃত আলম জমাদার পটুয়াখালী জেলার দশমিনা থানার মৃত রতন জমাদারের ছেলে। তিনি শহিদ নগর সুকুমপট্টি মজিবরের বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
ধর্ষিতার বোন বলেন, আমাদের এলাকার অটো চালক নূর ইসলাম ধর্ষণকারি আলম জমাদারের পক্ষ হয়ে টাকার বিনিময়ে আপোষ মীমাংশা করার প্রস্তাব দেন। এবং বলেন ভালো পরিমানের টাকা দিবে। আমরা তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমাকে ও আমার খালাকে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করে আসছে। তারা বলে আমাদেরকে এলাকা ছাড়া করে দিবে। ওই এলাকায় থাকতে দিবে না বলে জানান। আমরা কিভাবে এখানে থাকি তারা নাকি দেইখা দিবো। আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কে আছি। একই সাথে আমি আমার বোনের ধর্ষণকারীর সঠিক বিচার চাই।
উল্লেখ্য, শুক্রবার ২৬ জুন সন্ধ্যায় রান্না করার লাকড়ী দেওয়ার কথা বলে জহির মুহুরীর বাড়ির পেছনে নির্জন জায়গায় নিয়ে যায় তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে। পরে তার হাত, পাঁ ও মুখ বেধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। রোববার ২৮ জুন বিকেলে সুকুমপট্টি মজিবর মিয়ার বাড়ি থেকে ধর্ষণের অভিযোগে আলম জমাদার (৫০) কে আটক করেন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ। তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।