আজ শনিবার, ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আজমেরীর নামে মাটি লুট

নিজস্ব প্রতিবেদক

শুক্রবার ভোরে হঠাৎ করে তিনট্রি ট্রলারে করে হাজির হয় ১৮ থেকে ২০ জন লোক। যাদের অধিকাংশই শ্রমিক। তাদের আদেশ নির্দেশ দিতে দেখা যায়, গোদনাইল আরামবাগের আমির সহ কয়েকজনকে। এ আমিরের নির্দেশেই শীতলক্ষ্যা নদীর তীর থেকে মাটি কেটে তিনটি ট্রলারে ভরে নেয়া হয়। আমিরকে স্থানীয়রা প্রশ্ন করলে তিনি জবাব দেন ‘ হাজী সাহেবের নির্দেশ। সাথে আরও বলেন, প্রশাসনও জানে।
জানা গেছে, সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জের লক্ষীনারায়ণ মিলের পাশে টিএসসি স্পিনিং মিলের পেছনে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরবর্তী এলাকার মাটি লুট করার অভিযোগ উঠেছে আমির বাহিনীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার ভোরে ট্রলারে করে এসে মাটি লুট করে নিয়ে যায়। মাটি কাটার অনুমোদন আছে কিনা প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানতে চাইলে দুর্বৃত্তরা দূর থেকে কিছু একটা দেখিয়ে ধমকের সুরে কথা বলে।
প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, তিনটি ট্রালারে করে আসে সংঘদ্ধ একটি দল। তারা ট্রলার থেকে নেমে মাটি কাটতে শুরু করে। এলাকাটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সাধারণ মানুষ এগিয়ে আসেনি। ভেতরে থেকে নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের ছবি তুললে তাদের ঘিরে ধরে মাটি কাটতে আসা আমির বাহিনী। হুমকি দিয়ে বাধ্য করে সব ছবি ডিলেইট করতে।
টিএসসি স্পিনিং মিলের দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মী জানান, মাটি কাটার সময় আমরা অনুমোদনের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা আমাদেরকে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ থেকে অর্ডারের কাগজ আছে। পুলিশ সুপার কার্যলয় থেকে অনুমোদনও আছে। হাজী সাহেব (আজমেরী ওসমান) অনুমোদন দিয়েছে।
নিরাপত্তা কর্মীরা আরও বলেন, আরামবাগের আমিরের তত্তাবধানে মাটি কাটা হয়েছে। মাটি কাটার ছবি তোলার সময়ে তাদের মধ্যে কয়েকজন ছেলে এসে হাত থেকে ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে ছবি মুছে ফেলে। এসময় তারা হুমকি ধামকি দেয়।
প্রশাসনের অনুমোদনের বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল ফারুক জানান, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। মাটি সংক্রান্ত বিষয় হলে এসিল্যান্ড হয়তো বলতে পারবেন।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ সার্কেলের সহকারী কমিশরার (ভূমি) রেজা মো. গোলাম মাসুম প্রধানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, জেলা প্রশাসন থেকে কাউকে মাটি কাটার অনুমোদন দেয়া হয়নি। যারা বলেছে তারা অসত্য কথা বলেছে।

সর্বশেষ সংবাদ