আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের কমিটিতে বিতর্কিত ও অনুপ্রবেশকারীরা স্থান করে নিতে না পারে সেজন্য তাদের তালিকা করেছে দলটি। এই তালিকা কেন্দ্র থেকে শুরু করে জেলার নেতাদের কাছে দেয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির সম্পাদকমন্ডলি সভা শেষে এ কথা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, বিতর্কিত কোনো ব্যক্তি যাতে বিভিন্ন পর্যায়ের সম্মেলনে কমিটিতে স্থান করে নিতে না পারে, সেজন্য আমরা সতর্ক রয়েছি। নেতাকর্মীদের সেভাবে দিকনির্দেশনা দেয়া আছে।
সড়ক ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, ‘নেত্রী (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) তার নিজস্ব কিছু লোক এবং গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট, সবমিলিয়ে খোঁজ নিয়ে একটি তালিকা করেছেন, সেই তালিকা পার্টি অফিসে পাঠিয়ে দিয়েছেন। আমি নিজেও আমার জেলার নেতাদের সাথে সেই বিতর্কিত তালিকা নিয়ে কথা বলেছি। আমরা এই ব্যাপারে সতর্ক, যাতে সেই তালিকায় থাকা বিতর্কিত ও অনুপ্রবেশকারী কাউন্সিলে কোন ধরনের জায়গা না পায়।’
তিনি বলেন, ‘আমি বিভাগীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বিষয়টি শেয়ারও করেছি। তারা এই তালিকা নিয়ে বিভিন্ন শাখা ও সহযোগী সংগঠনের যে সম্মেলন হচ্ছে, সেখানে বলে বিতর্কিত ও অনুপ্রবেশকারী হিসাবে যাদের নাম আছে, তারা যেন কমিটিতে না আসতে পারে সেই ব্যাপারে সতর্ক থাকবে এবং ব্যবস্থা নেবে।’
তালিকায় অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা কত- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সব বিভাগেই কম বেশি আছে। তবে নির্দিষ্ট সংখ্যা বলতে পারছি না। পরের মিটিংয়ে বলবো।’
এসময় বিভিন্ন জেলা ও আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোকে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কমিটি করার নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘গঠনতন্ত্রে যেভাবে কমিটি করার দিক নির্দেশনা আছে সে অনুযায়ী কমিটি করতে হবে।’ এ ব্যাপারে জেলা পর্যায়ের নেতাদের কাছে নির্দেশনা যাবে বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আবদুস সোবহান গোলাপ, ফরিদুন্নাহার লাইলী, দেলোয়ার হোসেন, শাম্মী আহমেদ,আফজাল হোসেন, আব্দুস সবুর, বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য রিয়াজুল কবির কাওসার প্রমুখ